(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস, নিরাপদে ফেরার সম্ভাবনা কতটা? জানালেন ISRO প্রধান
ISRO Chief S Somanath: সংবাদমাধ্যমে সোমনাথ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতার ফিরতে যে দেরি হচ্ছে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।
নয়াদিল্লি: মহাকাশযানে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে নির্ধারিত সময়ে পৃথিবীতে ফেরা হয়নি। এখনও মহাকাশেই আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। কবে তাঁকে ফেরানো যাবে, সেই নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। সেই আবহে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) প্রধান এস সোমনাথ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন। (Sunita Williams)
সংবাদমাধ্যমে সোমনাথ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতার ফিরতে যে দেরি হচ্ছে, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন যথেষ্ট নিরাপদ এবং টেকসই। সোমনাথের কথায়, "এটা শুধুমাত্র সুনীতা উইলিয়ামসের কথা নয়। মহাকাশে আটকে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া নিয়ে এখনই আলোচনা না করা ভাল। সবমিলিয়ে ন'জন নভোশ্চর রয়েছেন। তাঁরা কিন্তু হারিয়ে যাননি।"(ISRO Chief S Somanath)
সোমনাথ বলেন, "ওই ন'জন কিন্তু কোনও না কোনও সময় পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। Boeing Starliner মহাকাশযানটিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মহাশূন্যের উদ্দেশে যাত্রা করতে এবং পৃথিবীতে ফিরে আসার ক্ষেত্রে সেটি নিরাপদ কি না, দেখা হচ্ছে তা। পৃথিবী থেকে যান পাঠিয়ে তাঁদের ফিরিয়ে আার যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। সেটা কোনও সমস্যাই নয়। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে দীর্ঘদিন নিরাপদে কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে।"
এটি মহাকাশে তৃতীয় অভিযান সুনীতার। তাঁকে নিয়ে ভারতীয়রা গর্ব অনুভব করেন বলেও জানিয়েছেন সোমনাথ। Boeing Starliner-এর নকশা তৈরিতেও যুক্ত ছিলেন সুনীতা। তাই মহাকাশ গবেষণার জগতে সুনীতার অবদান অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছেন সোমনাথ। নিরাপদে যাতে সুনীতা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন, তার জন্য শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি।
সুনীতার ফেরা নিয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. বরং কয়েক দিনের জায়গায়, কয়েক মাসও তাঁকে মহাকাশে থাকতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সুনীতার সঙ্গে মহাকাশে আটকে পড়েছেন ব্যারি বুচ উইলমোরও। মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায়, আপাতত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।
সেখানে বাকি নভোশ্চরদের সঙ্গে গবেষণার কাজে হাত লাগিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছনোর পথেও মহাকাশযানটি থেকে ছিদ্রপথে হিলিয়াম বেরোতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি থ্রাস্টারেও সমস্যা দেখা দেয়। মহাকাশযানের নীচে যে নলাকার অংশটি যুক্ত রয়েছে, তাকে সার্ভিস মডিউল বলে, তাতেই উড়ানের শক্তি মজুত থাকে। সেটিতেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ফলে গোঁত্তা খেতে খেতে, বিপদ মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন সুনীতা এবং ব্য়ারি।