Science News: মঙ্গল, বৃহস্পতির দুই গ্রহাণুতে জলের খোঁজ ! কীসের ইঙ্গিত
Water Molecules On Asteroids: সারা ব্রহ্মান্ডে জলের খোঁজ নেই। পৃথিবীতে জল এল কোথা থেকে। এই প্রশ্ন দীর্ঘ দিন ধরেই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
কলকাতা: পৃথিবীর বাইরে হন্যে হয়ে জলের খোঁজ করেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই খোঁজেরই আরেকটা ফল পাওয়া গেল। পৃথিবীর কাছাকাছি দুটি গ্রহাণুতে জলের সন্ধান পাওয়া গেল। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে প্ল্যানেটরি সায়েন্স জার্নালে। মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের চারপাশে রয়েছে বেশ কিছু গ্রহাণুর বেষ্টন। তার মধ্যেই দুটি গ্রহাণুতে জলের সন্ধান পেলেন মহাকাশবিদরা।
কী পেলেন বিজ্ঞানীরা
কোনও গ্রহাণুতে জলের খোঁজ পাওয়া বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথম। গবেষকদের কথায়, এই জলকণাই প্রামাণ ব্রহ্মান্ড নেহাতই পাথুরে কোনও অস্তিত্ব নয়। বরং জলের অস্তিত্ব এখনও হারিয়ে যায়নি। পৃথিবীতে জলের অস্তিত্ব নিয়েও মহাকাশবিদদের একাংশের মধ্যে একটি ধারণা দীর্ঘ দিন ধরে প্রচলিত রয়েছে। মনে করা হয়, এমনই কিছু গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে ধাক্কা খায়। তার ফলেই পৃথিবীতে জলের অস্তিত্ব। গ্রহাণুর মধ্যে এবার জল পেয়ে সেই ধারণাই সত্যি প্রমাণিত হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
কীভাবে মিলল খোঁজ
সোফিয়া (স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি এয়ারবোর্ন) টেলিস্কোপের মাধ্যমে খোঁজ মিলেছে এই বিশেষ গ্রহাণুর। একটি বোয়িং ৭৪৭এসপি এয়ারক্র্যাফ্টের সাহায্যে এই টেলিস্কোপ বায়ুমন্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে উড়ছে। সেখানেই গ্রহাণু থেকে আসা ইনফ্রারেড রশ্মি ধরা পড়েছে ওই টেলিস্কোপের চোখে। মঙ্গল গ্রহের গ্রহাণুুগুলির মধ্যে আইরিস ও বৃহস্পতির গ্রহাণুগুলির মধ্যে ম্যাসালিয়াতে এই জলের খোঁজ পাওয়া গেল। তবে এই দুটি গ্রহাণু সূর্য থেকে ২২.৩১ কোটি মাইল দূরে অবস্থিত।
কী বলছেন গবেষক
বর্তমানে সোফিয়া টেলিস্কোপটি গবেষণার কাজে আর ব্যবহার করা হয় না। তবে সাম্প্রতিক তথ্য নাড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানীমহলকে। সান অ্যান্টনিওর সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যানিসিয়া অ্যারেদন্দো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জলের খোঁজ পাওয়ার পর থেকে সোফিয়াকে ফের কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন গবেষকরা।
এর আগে নাসার গবেষক ম্যাগি ম্যাকঅ্যাডাম এই দুই গ্রহাণুতে হাইড্রেশনের প্রমাণ পেয়েছিলেন। সেই সময় অন্য একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে এই হাইড্রেশনে হচ্ছে তা বোঝা যায়নি। এর পিছনে জলই দায়ী না হাইড্রক্সিল নামের রাসায়নিক যৌগ, তা নিয়ে ধন্দ থেকে যায়। সাম্প্রতিক গবেষণা সেই ধন্দ অনেকটাই কাটিয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। এবার জলের উৎসের সন্ধানও স্পষ্ট হতে পারে বলে আশা।
আরও পড়ুন - Concentration Issues: সারা দিন কাজে ঠিকমতো মন বসে না ? ছোট্ট বদল চাই সকালের জলখাবারে