Zero Shadow Day:ছায়াহীন দিন বেঙ্গালুরুতে! আর ক'ঘণ্টাতেই ঘটতে চলেছে এই মহাজাগতিক ঘটনা
Science News:আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবার বেলা ১২টা ২৭ মিনিট থেকে ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর মাটিতে কোনও ছায়া পড়বে না। বৈজ্ঞানিকদের ভাষায়, এর নাম 'জিরো শ্যাডো ডে।'
কলকাতা: আলো থাকলেও ছায়া পড়ে না! কোনও ধাঁধা নয়, একেবারে খাঁটি বাস্তব। সাক্ষী থাকতে চান? তা হলে চলুন বেঙ্গালুরু। আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবার বেলা ১২টা ২৭ মিনিট থেকে ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর মাটিতে কোনও ছায়া পড়বে না। বৈজ্ঞানিকদের ভাষায়, এর নাম 'জিরো শ্যাডো ডে। (Zero Shadow Day)' এই মহাজাগতিক ঘটনার অভিজ্ঞতা হবে ভোপাল, কন্যাকুমারী, হায়দরাবাদ এবং মুম্বইয়ের বাসিন্দাদেরও। তবে সবথেকে ভাল ভাবে এটি টের পাবেন বেঙ্গালুরুর মানুষ।
বিশদ...
সবটাই সূর্যের অবস্থানের কারিকুরি, ব্যাখ্যা জ্য়োতির্বিজ্ঞানীদের। ছোটবেলায় ভৌতবিজ্ঞানে পড়া আলোর বিজ্ঞান একটু খেয়াল করলেই আমাদের অনেকের হয়তো মনে পড়ে যাবে, ছায়া কেন তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্য যখন কোনও জায়গায় মাথার উপর একেবারে উলম্ব ভাবে সোজাসুজি এসে যায়, তখন সেখানে কোনও ছায়া পড়ে না। অর্থাৎ আলো থাকলেও ছায়া তৈরি হয় না। সেই জায়গাতেই সেদিন 'জিরো শ্যাডো ডে।' আগামীকাল, অর্থাৎ চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এমনই হতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে। নির্দিষ্ট ভাবে বললে, বেলা ১২টা ২৭ মিনিট থেকে ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত এই অভিজ্ঞতা হবে সেখানকার বাসিন্দাদের।
ব্যাখ্যা...
পৃথিবী যেমন নিজের অক্ষের উপর ঘোরে, ঠিক তেমনই সূর্যের চারদিকেও পাক খায়। সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর এই প্রদক্ষিণের ফলে আমাদের নিরিখে সূর্যের অবস্থান বদলাতে থাকে। আরও একটু ভেঙে বললে, এরই ফলে পৃথিবীর এক একটি অক্ষাংশের উপর এক এক সময়ে সোজাসুজি উলম্ব ভাবে এসে পৌঁছয় সূর্য। এর ফলেই ঋতু-পরিবর্তন, এরই ফলে বিষুবরেখার দক্ষিণে ২৩.৫ ডিগ্রি থেকে উত্তরে ২৩.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত সূর্যের বাৎসরিক 'ঘোরাফেরা।' অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার মতে, এর ফলে ফি-বছর, দুবার করে 'জিরো শ্যাডো ডে' হয়। পৃথিবীর +২৩.৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ থেকে -২৩.৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় 'জিরো শ্যাডো ডে' হয়ে থাকে। এবার বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা এটি দেখতে পাবেন। এই উপলক্ষ্যে বেঙ্গালুরুর Indian Institute of Astrophysics একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। সাধারণ মানুষ তাতে যোগ দিতে পারবেন। দেখতে পারবেন, কী ভাবে ছায়া ছোট হতে হতে একসময়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:নতুন কিছু স্মরণে রাখতে গিয়ে মস্তিষ্ক-কোষের ক্ষতি হচ্ছে না তো? চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত গবেষণায়