Ravichandran Aswin: একসময় দলে সবাই বন্ধু ছিল, এখন সবাই সহকর্মী: অশ্বিন
Ravichandran Aswin Update: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় একাদশে সুযোগ মেলেনি। সেই হতাশা ভুলে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে নিজের ছাপ রাখছেন অশ্বিন।
চেন্নাই: টেস্টের ক্রমতালিকায় ১ নম্বর বোলার হওয়া সত্ত্বেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে (World Test Championship Final 2023) ভারতীয় একাদশে সুযোগ হয়নি তাঁর। একাদশ থেকে বাদ পড়া নিয়ে হতাশাও ব্য়ক্ত করেছিলেন অভিজ্ঞ তামিল স্পিনার। এবার ভারতীয় দল ও দলের সতীর্থদের নিয়েও ঈঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Aswin)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ''এই বিষয়টা খুব গভীর একটা বিষয়। এটা এমন একটা সময় যেখানে দলের সমস্ত সদস্য একে অপরের সতীর্থ মাত্র। একটা সময় ছিল যখন দলের প্রত্যেক সদস্য প্রত্যেকের বন্ধু ছিল। এটাই এখন আর তখনের মধ্যে বড় পার্থক্য হয়ে গেছে। এখানে প্রত্যেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। নিজেদের ডানদিক-বাঁদিকে বসে থাকা ক্রিকেটারদের থেকে এগিয়ে যাওয়াটাই এখন সবার লক্ষ্য। এখন কারুর হাতে সময় নেই। কারুর হাতে এই সময়টা নেই জিজ্ঞাসা করার যে 'বস তুমি কি করছ?'' অশ্বিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে দলে কার সঙ্গে তিনি বেশি আড্ডা মারেন। কোনও বিষয়ে সমস্যা হলে কার সঙ্গেই বা আলোচনা করেন তিনি। আর এই প্রশ্নের উত্তরেই এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন অশ্বিন।
একটা সময় ছিল যখন অশ্বিনকে ছাড়া ভারতীয় দল ভাবাই যেত না। তিন ফর্ম্যাটেই তিনি ছিলেন অটোমেটিক চয়েস। বয়স ও পারফরম্যান্স থাবা ফেলেছে। তবুও টেস্টে অশ্বিনের উপস্থিতি বোলিং ডিপার্টমেন্টকে বাড়তি ভারসাম্য দিয়ে থাকে।
কিন্তু এরপরও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ মেলেনি তাঁর। ভারতের হারের পর যা নিয়ে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে কেন একাদশে রাখা হল না, তার জন্য সমালোচিত হতে হচ্ছে কোচ দ্রাবিড় ও অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও। এরই মাঝে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের অভিজ্ঞ তারকা স্পিনার জানালেন যে হাঁটুর চোট কীভাবে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত বছর বাংলাদেশ সিরিজ খেলে ফেরার পর নাকি ভেবেও নিয়েছিলেন যে ক্রিকেট আর বেশিদিন খেলতে পারবেন না। অশ্বিন বলছেন, ''গত বছর বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরে আসার পরেই হাঁটুর যন্ত্রণা মারাত্মক বেড়েছিল। যন্ত্রণার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আমি ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবে ফেলেছিলাম। সেটা একদিন প্রীতিকে জানিয়েও দিয়েছিলাম। স্ত্রীকে বলেছিলাম যে, এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজই হয়তো শেষ সিরিজ হতে চলেছে আমার।''