করোনাভাইরাস: মার্কিন মুলুকে স্বেচ্ছা-গৃহবন্দি শাকিব আল হাসান, বললেন 'মেয়েকে না দেখতে পারা কষ্টের, তবে এই আত্মত্যাগ জরুরি'
সম্প্রতি, আমেরিকায় গিয়েছেন শাকিব। সেখানেই রয়েছেন স্ত্রী উমে আহমেদ শিশির ও কন্যা আলাইনা হাসান।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার শাকিব-আল হাসানের জীবনেও। বর্তমানে মার্কিন মুলুকে স্ত্রী-কন্যার থেকে আলাদা হয়ে হোটেলে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে রয়েছেন এই অল-রাউন্ডার।
সম্প্রতি, আমেরিকায় গিয়েছেন শাকিব। সেখানেই রয়েছেন স্ত্রী উমে আহমেদ শিশির ও কন্যা আলাইনা হাসান। তবে, করোনাভাইরাসের চরিত্র ও প্রকৃতি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল শাকিব। তাই আমেরিকায় পৌঁছে পরিবারের ভালোর কথা ভেবে তাঁদের কাছে না গিয়ে অন্যত্র হোটেলে উঠে নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন।
শাকিব জানান, তিনি বুঝেছেন যে ফ্লাইটে আসলে একটা সংক্রমণের বিপদের ঝুঁকি থাকেই। তাই, কাছে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এত কাছে থেকেও মেয়েকে না দেখতে পারার কষ্ট থাকলেও, তার কল্যাণের জন্য এই আত্মত্যাগ জরুরি ছিল বলে মনে করেন তিনি। কারণ, তার সুফল ভবিষ্যতে মিলবে।
৩২ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেন, কিছুদিন হল মার্কিন মুলুকে পৌঁছেছি। ফ্লাইটে আসার পর থেকেই কিছুটা সংশয়ে ছিলাম। তবে, যাবতীয় সুরক্ষা ও সতর্কতামূলক পন্থা অবলম্বন করেছি। যে কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেই আমি পরিবারের কাছে না গিয়ে সোজা হোটেলে উঠি। স্ত্রী ও কন্যাকে জানিয়েছি, আমার এই সিদ্ধান্তের কথা।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শাকিব। বলেন, বিমানে আসায় ভাইরাস সংক্রমণের একটি ঝুঁকি ছিল। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই নিজেকে আলাদা করে রাখব। মেয়েকে দেখতে পাচ্ছি না, এটা ভীষণই বেদনাদায়ক। তবে, এই পরিস্থিততে এই আত্মত্যাগ প্রয়োজন।
এই প্রেক্ষিতে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং ঘরে থাকার পরামর্শ দেন শাকিব। বলেন, যাঁরা বিদেশে থাকছেন, তাঁদের উচিত এখন বাড়ির ভেতর থাকা। বাইরে না বেরনো। এই পরিস্থিতিতে কোনও আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে আসার অনুমতি দেবেন না। আগামী ১৪ দিন অন্তত বাড়িতে থাকুন।
একইসঙ্গে, তিনি অনুরোধ করেন, কেউ যাতে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন। কারণ শাকিবের মতে, এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, সকলকে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শও দেন তিনি।