(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
IND vs AUS 1st Test: কোহলি, যশস্বীর শতরানের পর শেষলগ্নে বুমরার আগুনে বোলিং, ১২/৩ তৃতীয় দিন শেষ করল অস্ট্রেলিয়া
IND vs AUS 1st Test: ম্যাচ জিততে অস্ট্রেলিয়াকে এখনও ৫২২ রান তুলতে হবে, হাতে রয়েছে সাতটি উইকেট।
পারথ: প্রথম টেস্টের (IND vs AUS 1st Test) তৃতীয় দিনের শেষেবেলায় উইকেট বাঁচানোর জন্য প্যাট কামিন্সকে নাইট ওয়াচ ম্যান হিসাবে নামিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স তো টিকতে পারলেনই না, মাত্র তিন রানে যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন মার্নাস লাবুশেনও। এর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হল দিনের খেলা। রবিবাস দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তিন উইকেটের বিনিময়ে ১২ রান।
যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভারতীয় দল ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ৪৮৭ রান তুলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুবিশাল ৫৩৪ রানের লক্ষ্য রাখে ভারতীয় দল। এই বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভাল শুরুটা করা প্রয়োজন ছিল। তবে ন্যাথান ম্যাকসোয়েনি ইনিংসের প্রথম ওভারেই বুমরার বলে সাজঘরে ফেরেন। রিভিউ নিয়েও লাভের লাভ হয়নি। খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় এই ম্যাচে অভিষেক ঘটানো তারকাকে। এরপরে সিরাজ দুই রানে কামিন্সকে ফেরান। দিন শেষ হওয়ার আগে লাবুশেনকেও তিন রানে এলবিডব্লু আউট করেন বুমরা।
ভারতের হয়ে দিনের শুরুটা করেন কেএল রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। বিনা উইকেটে ১৭২ রান থেকে দিনের শুরুটা করেন দুই ভারতীয় ওপেনার। দুই তারকাই শুরু থেকে বেশ আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাটিং করেন। গতকাল ৯০ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছিলেন যশস্বী। নিজের প্রথম টেস্ট খেলছেন অস্ট্রেলিয়াতে। সেই ম্যাচেই শতরানের হাতছানি, সাধারণত যে কোনও তরুণ তুর্কিরই একটু নার্ভাস থাকার কথা। কিন্তু বিন্দুমাত্র তেমনটা দেখা গেল না। হ্যাজেলউডের বলে আপার কাটে ছয় মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করাটা সেই আত্মবিশ্বাসেরই পরিচয় দেন। এক দশক আগে এই ম্যাচে যশস্বীর ওপেনিং পার্টনার কেএল রাহুল সিডনিতে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেটাই ছিল অজ়িভূমে কোনও ভারতীয় ওপেনারের শেষ সেঞ্চুরি। তার এক দশক পর আবারও কোনও ভারতীয় ওপেনার সেঞ্চুরি করলেন।
রাহুলের ও যশস্বী প্রথম ভারতীয় ওপেনিং জুটি হিসাবে দু'শো রানের পার্টনারশিপও করে ফেলেন। তবে তারপরেই রাহুলকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। ৭৭ রানে নজরকাড়া ইনিংস খেলে ফেরেন রাহুল। রাহুলের আউট হওয়ার পরেই ক্রিজে ব্যাটল করতে নামেন আরেক তরুণ বাঁ-হাতি ব্যাটার দেবদত্ত পাড়িক্কাল। রাহুলের উইকেট হারালেও ভারতীয় দলের ওপর তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। পাড়িক্কালকে ব্যাটে নেমে বেশ ভাল ছন্দেই দেখা যায়। কিন্তু লাঞ্চের পর প্রথম বলেই তিনি ফেরেন।
এরপর প্রবল জনগর্জনে মাঠে নামেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যশস্বী ও কোহলির পার্টনারশিপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। যশস্বীকে ১৬১ রানে মিচেল মার্শ। এরপরেই তিন ওভারের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারায় ভারতীয় দল। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ও কোহলি ইনিংসের দায়ভার সামলান। দুইজনে মিলে ভারতের ইনিংসকে ৪০০ পার করান। সুন্দর আউট হলে ভারতীয় দলের রানের গতি কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। নীতীশ রেড্ডি শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলছিলেন। কোহলিও ইনিংস ঘোষণার সময় কাছে আসছে দেখে দ্রুত গতিতে রান করতে শুরু করেন।
শেষমেশ চার মেরে নিজের শতরান পূরণ করেন কোহলি। তারপরেই ইনিংস ঘোষণা করে ভারতীয় দল। ২৭ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন নীতীশ। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে খুব আহামরি কিছু না হলে ভারতের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা প্রবল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: আইপিএলের নিলাম থেকে কোন ক্রিকেটারকে দলে নিচ্ছে কারা, কোন দল দেবে চমক? লাইভ আপডেট