Eden Gardens: ইডেনে প্রবেশে কড়াকড়ি! আটকে গেলেন জেলা প্রতিনিধি, নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্ষুব্ধ সদস্যরা
CAB Controversy: প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নাকি হস্তক্ষেপ করেছেন। জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি কথা বলে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছেন বলে খবর।
কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) প্রবেশ কড়াকড়ি? তাও শুধু আমজনতার জন্য নয়, এ নিয়ম নাকি সকলের জন্যই প্রযোজ্য। আর সেই নিয়ম প্রয়োগ করতে গিয়ে আটকে দেওয়া হল সিএবি-রই জেলা প্রতিনিধিকে! যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। নিয়ম নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন ক্ষুব্ধ সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হল সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে। শোনা যাচ্ছে, অভিযুক্ত কর্মীকে সাময়িকভাবে সিএবি-তে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সিএবি প্রেসিডেন্ট নিয়ম করে দিয়েছেন যে, ইডেন গার্ডেন্সে প্রবেশ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে কার সঙ্গে কী উদ্দেশে দেখা করতে যাচ্ছেন, তা প্রবেশদ্বারের কাছে রাখা রেজিস্ট্রারে নথিবদ্ধ করতে হবে। অনুমতি পেলে তবেই ঢোকা যাবে ভেতরে। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বলবৎ করা হয়েছে। যা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়েছে গত শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর। সেদিন সন্ধ্যায় কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও সিএবি-র প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ইডেনে গিয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথ্য সিএবি-র ট্যুর, ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান, প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় দাসের জন্য একতলার বরাদ্দ ঘরে দেখা করতে ঢোকেন সৌরভ।
অভিযোগ, সেই সময়ই জনৈক শান্তনু সাহা ওই ঘরে সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেন। ঘরের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী দাঁড় করিয়ে দেন শান্তনু। জানা গিয়েছে, সেই সময়ই সৌরভের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন জেলার কয়েকজন প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে একজনকে রুখে দেন নিরাপত্তারক্ষী। প্রবল অপমানিত বোধ করেন ওই জেলা প্রতিনিধি। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ অন্যান্য জেলা প্রতিনিধি ও সিএবি-র সদস্যরাও।
বলা হচ্ছে, অভিযুক্ত শান্তনু প্রেসিডেন্ট ও সিএবি-র শীর্ষকর্তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অন্যায্য সুবিধা নিয়ে থাকেন নিয়মিত। তিনি সিএবি-র অস্থায়ী কর্মীও। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে স্থায়ী কর্মী করে নিতে চলেছে সিএবি। কাগজপত্রও নাকি তৈরি। চুক্তিপত্র হাতে পাওয়া শুধু নাকি সময়ের অপেক্ষা।
তবে শুক্রবারের ঘটনার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে সিএবি। প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নাকি হস্তক্ষেপ করেছেন। জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি কথা বলে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছেন বলে খবর। কারও কারও দাবি, অভিযুক্ত শান্তনুকে সাময়িকভাবে সিএবি-তে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ো, ভাল মানুষেরা ওর সঙ্গে বসুক, পৃথ্বী শ-র পরিণতি দেখে মন খারাপ পিটারসেনের
যদিও শান্তনু নিজে তা মানতে নারাজ। এবিপি আনন্দকে বললেন, 'কয়েকদিন ব্যক্তিগত কাজের জন্য সিএবি-তে যাচ্ছি না। ডিসেম্বর মাসে আমার একটা টুর্নামেন্ট রয়েছে। সে সব নিয়ে ব্যস্ত আছি বলেই আপাতত সিএবি-তে যাব না। আমি কোনওদিনই কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার নামে কেউ কিছু অভিযোগ করে থাকলে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'
সিএবি-তে বাঁকুড়া জেলার প্রতিনিধি আশিস চক্রবর্তী গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন। এবিপি আনন্দকে আশিস বললেন, 'গোটা ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আগে কখনও ঘটেনি। আশা করব এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিয়ে সিএবি সচেষ্ট হবে।' যোগ করলেন, 'অনেক ক্রিকেট মাঠেই এরকম নিয়ম থাকে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী তা পাল্টানোও যেতে পারে।'
আরও পড়ুন: কোচের স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনে ফের মুখোমুখি, অসুস্থ বন্ধুর খোঁজ নিলেন সচিন, কেমন আছেন কাম্বলি?