Indian Cricket: ''অলিম্পিক্সে সোনা প্রাপ্য রোহিত, বিরাটের'', ২ তারকা ক্রিকেটারকে কী পরামর্শ দিলেন শ্রীসন্থ?
Riohit And Virat: চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিরাট। সেমিফাইনালেও ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। রোহিত ইংল্যান্ডের বিরিুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে।

কোচি: গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরই এই ফর্ম্য়াটকে বিদায় জানিয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কােহলি। ওয়ান ডে ও টেস্ট ফর্ম্য়াটে যদিও খেলছেন। তবে এমনটাও শোনা যাচ্ছে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর হয়ত এই ফর্ম্য়াটকেও বিদায় জানাতে পারেন ২ অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটার। তবে ২ বারের বিশ্বকাপজয়ী এস শ্রীসন্থ মনে করেন টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে অবসর ভেঙে ফেরা উচিত রোহিত ও বিরাটকে। তিনি মনে করেন তাঁরা দেশের জার্সিতে কুড়ির ফর্ম্যাটে ফিরে অলিম্পিক্সে সোনা জেতাক দলকে।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিরাট। সেমিফাইনালেও ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। অন্যদিকে রোহিত ইংল্যান্ডের বিরিুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে। চলতি টুর্নামেন্টেও ভাল শুরু করেছেন ওপেনে নেমে, যদিও বড় ইনিংস রোহিতের ব্যাট থেকে আসেনি। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটার এই দুজন। সম্মিলিত আন্তর্জাতিক রান মোট ৪৭০০০। ঝুলিতে ১৩১টি সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের সব ফর্ম্য়াটে সব টুর্নামেন্টে খেললেও অলিম্পিক্সে খেলেননি তাঁরা। ১৯৯০ সালের পর ২০২৮ অলিম্পিক্সে ফের ক্রিকেট হতে চলেছে। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে লস অ্য়াঞ্জলসে বসবে অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের আসর।
শ্রীসন্থ বলছেন, ''আমার মতে বিরাট ও রোহিতের টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াট থেকে অবসর নেওয়া উচিৎ হয়নি। ওঁরা এত বড় মাপের ক্রিকেটার। অলিম্পিক্স খেলে সোনা জেতা ওঁদের প্রাপ্য। ভারতীয় দল এখন অনেক বিনয়ী। ক্রিকেটাররা সবাই একে অপরের সঙ্গে ভাইয়ের মত ব্যবহার করে।''
২০০৭ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দল যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে, সেই দলে ছিলেন রোহিত ও শ্রীসন্থ। আবার ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন বিরাট ও শ্রীসন্থ। আরও একটি আইসিসি ইভেন্ট জয়ের হাতছানি এবার ভারতের সামনে। অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অন্যদিকে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যাঁদের লিগের শেষ ম্য়াচে ভারত হারিয়ে দিয়েছিল। ২০০০ সালে নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নিউজ়িল্যান্ড। সেই ফাইনালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন ভারতের অধিনায়ক। ফাইনালে ভারতের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন বেহালার বাঁহাতি। সৌরভের ১১৭ রানের পাশাপাশি ৬৯ রান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ওপেনিং পার্টনারশিপে ১৪১ রান যোগ করার পরেও ভারত মাঠ ছেড়েছিল খালি হাতে। ভারতের ২৬৪/৬ স্কোর ২ বল বাকি থাকতে হাতে ৪ উইকেট রেখে পেরিয়ে গিয়েছিল নিউজ়িল্যান্ড। ক্রিস কেয়ার্নসের দুরন্ত সেঞ্চুরি অন্ধকার নামিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সৌরভের হাতে ওঠেনি। ২৫ বছর ধরে যে যন্ত্রণা পুষে রেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। আড়াই দশক আগের সেই শাপমোচন হবে দুবাইয়ে? এখন থেকে প্রার্থনা শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা।




















