IND vs ENG: বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে জোর জল্পনা, তারকা বোলারের কি সত্যিই বিশ্রাম প্রয়োজন?
Jasprit Bumrah: গত বছরের শুরু থেকে ৪৪০ ওভারের অধিক বল করেছেন যশপ্রীত বুমরা।

বার্মিংহাম: অস্ট্রেলিয়া সফরে চোট লাগায় শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যশপ্রীত বুমরাকে (Jasprit Bumrah) বল করতে দেখা যায়নি। তারপর বেশ কয়েকদিনের অপেক্ষা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (ENG vs IND) প্রথম টেস্ট ম্যাচেই ভারতীয় দলে বুমরার প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল। লিডসে পরিসংখ্যনের নিরিখে বুমরাই দলের সেরা বোলার। তা সত্ত্বেও ২ জুলাই থেকে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে বুমরার না খেলার সম্ভাবনাই প্রবল। কিন্তু কেন? কারণ তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট।
বুমরা গত বছরের শুরু থেকে লাল বলের ক্রিকেটে ১৫.৮ গড়ে মোট ৭৮টি উইকেট নিয়েছেন। ছয়বার তাঁর ঝুলিতে পাঁচ উইকেট এসেছে। এই সময়ে বুমরা মোট ৪১০.৪ বল করেছেন। সেখানে তুলনা করলে দেখা যাবে এই সময়ে ভারতীয় দলের বাকি সব ফাস্ট বোলার মিলিয়ে এই সময়ে ৭০১.৪ ওভার বল করেছেন। নিয়েছেন ৮৪টি উইকেট। এই পরিসংখ্যান যেমন বুমরার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দেয়, তেমনই তাঁর ওয়ার্কলোড বোঝাতেও যথেষ্ট।
এই সময়ে বুমরার থেকে বিশ্বের আর কোনও ফাস্ট বোলার অধিক ওভার বল করেননি। বুমরার কাছাকাছি বলতে একমাত্র মিচেল স্টার্ক। অজ়ি মহাতারকা টেস্টে এই সময়ে বুমরা থেকে খানিকটা কম ৩৬২.৩ ওভার বল করেছেন। অর্থাৎ বুমরা যে বাকি ফাস্ট বোলারদের অনেক বেশি ওভার বল করেছেন এবং ওয়ার্কলোড তাঁর যথেষ্টই, তা বলাই বাহুল্য।
এমন পরিস্থিতিতে বুমরার এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। আজ ভারতীয় দল দ্বিতীয় টেস্টের জন্য জোরকদমে বার্মিংহামে অনুশীলন করে। সেখানে বুমরা উপস্থিত ছিলেন বটে। তবে তিনি কোনওরকম সেশনেই অংশগ্রহণ করেননি।
ভারতীয় প্রাক্তনী দীনেশ কার্তিকের মতেও হেডিংলেতে অনেক ওভার বল করার পর বুমরা এজবাস্টনে আবার মাঠে নামতে সম্ভবত চাইবেন না। 'আমাদের সবার আগে দেখতে হবে বুমরা খেলছে কি না। ও এজবাস্টনে খেলতে কতটা আগ্রহী হবে, সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় ও হয়তো অপেক্ষা করবে। ওই পিচটা তো পাটা। আমার মনে হয় (লর্ডসে খেললে) ওর শরীর অধিক বিশ্রাম পাবে। এই ম্যাচে তো ও প্রচুর ওভার বোলিং করেছে। ও যত বিশ্রাম পাবে, ততই ভাল। আমার মনে হয় ও লর্ডসে খেলতে পছন্দ করবে। তবে গোটাটা ও কী চাইছে সেই অনুযায়ী তো হবে না, দল কী চাইছে সেইটাও দেখতে হবে।' মত কার্তিকের। এবার দেখার বুমরা শেষমেশ ২ জুলাই মাঠে নামেন কি না।




















