INDW vs SLW: প্রথম ম্যাচের যেন কার্বন কপি, শেফালির দুরন্ত অর্ধশতরানে দাপুটে মেজাজে দ্বিতীয় টি-২০ জিতল ভারত
Shafali Verma: ৩৪ বলে ২০০-র অধিক স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন শেফালি বর্মা।

বিশাখাপত্তনম: প্রথম ম্যাচ জিততে সময় লেগেছিল ১৪.৪ ওভার। দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে লাগল আরও কম, ১১.৫ ওভার। বিশাখাপত্তনমে ফের একবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে শ্রীলঙ্কাকে (INDW vs SLW) কার্যত দুরমুশ করল 'ওমেন ইন ব্লু'। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। সৌজন্যে শেফালি বর্মার (Shafali Verma) দুরন্ত ব্যাটিং। ১২৯ রান তাড়া করতে নেমে শেফালির অর্ধশতরানে সাত উইকেটে জয় পেল হরমনপ্রীত কৌরের দল। ৩৪ বলে ২০০-র অধিক স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন শেফালি বর্মা।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত কৌর। প্রথম ওভারেই গত ম্যাচে রান পাওয়া ভিষমি গুণরত্নেকে ফিরিয়ে ভারতের হয়ে শুরুটা দারুণভাবে করেন ক্রান্তি গৌর। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু এবং হাসিনি পারেরা এরপরে ইনিংস গড়ার চেষ্টা চালান। লঙ্কান অধিনায়ককে বেশ ভাল ছন্দেই দেখাচ্ছিল। তবে স্নেহ রানা ভেল্কিতে ৩১ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। ৩৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা পাওয়ার প্লে শেষ করে।
তৃতীয় উইকেটে হাসিনির সঙ্গে হর্ষিতা ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে লঙ্কান দল কোনওসময়েই খুব দ্রুত গতিতে রান করতে পারেনি। হাসিনি ২২ এবং হর্ষিতা ৩৩ রানে আউট হওয়ার পর আর কেউ বলার মতো তেমন রানও পাননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১২৮ রানেই থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
জয়ের জন্য ভারতের সামনে খুব বেশি রানের লক্ষ্য ছিল না। শুরু থেকেই অনবদ্য ছন্দে দেখায় শেফালিকে। তবে স্মৃতি মান্ধানা এদিনও বড় রান পেলেন না। ১৪ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন। তাতে অবশ্য ভারতের রানের গতি খুব একটা কমেনি। শেফালি বলে বলে চার, ছক্কা হাঁকিয়ে দলের ইনিংসকে তড়তড়িয়ে এগিয়ে যায়। পাওয়ার প্লেতেই ভারত ছয় ওভারে এক উইকেটে ৬৮ রান তুলে ফেলে। শেফালিকে দেখে সময় মতো দিল্লি ক্যাপিটালসের নতুন অধিনায়ক জেমাইমা রডরিগেজ়ও রান করা শুরু করেন।
তবে বড় শট মারতে গিয়েই ২৬ রানে তিনি লং অনে ধরা দেন। শেফালি অবশ্য থামেননি। তিনি ২৭ বলে নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের ১২তম অর্ধশতরান পূরণ। শেষের দিকে মাল্কির মন্থর গতির বল বুঝতে ভুল করে হরমনপ্রীত ১০ রানে আউট হন বটে, তবে তা দ্বীপরাষ্ট্রের জন্য সান্ত্বনা পুরস্কারই ছিল বটে। সহজেই ভারত ৪৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয়।




















