England New Record: একসঙ্গে ঝুলিতে ওয়ান ডে ও টি-২০ বিশ্বকাপ, নতুন নজির ইংল্যান্ডের
ICC Record: ২০১৯ সালে ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা হল। এর আগে পরপর দুই ফর্ম্যাটের দুই বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের কাছে রাখতে পারেনি কোনও দল।
মেলবোর্ন: অন্যতম ফেভারিট হিসাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) শুরুতেই ধাক্কা। আয়ার্ল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মাথা নীচু করে মাঠ ছেড়েছিলেন জস বাটলার, স্যাম কারান, বেন স্টোকসরা।
রবিবার মেলবোর্নে সেই ইংল্যান্ডই (England Cricket Team) টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে। যে জয়ের সঙ্গে নতুন এক রেকর্ড গড়ে ফেলল ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডই প্রথম দল, যারা ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি, একসঙ্গে দুই বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের ঝুলিতে রাখার নজির গড়ল।
২০১৯ সালে ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা হল। এর আগে পরপর দুই ফর্ম্যাটের দুই বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের কাছে রাখতে পারেনি কোনও দল। সেদিক থেকে নতুন কীর্তি গড়লেন জস বাটলাররা।
খলনায়ক থেকে নায়ক
৬ বছর আগের ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) এক রাত। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে ম্যাচ জেতার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। বেন স্টোকসের (Ben Stokes) হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। ব্যাট করছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। স্টোকসের ওভারের প্রথম চার বলে চার বিশাল ছক্কা মেরে ইংরেজ শিবিরে অন্ধকার নামিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এপ্রিল রাতের সেই ইডেন দেখেছিল ক্যারিবিয়ানদের বিজয়োল্লাস। আর দেখেছিল এক অন্ধকার চোখ-মুখের ক্রিকেটারকে। হাঁটু গেড়ে পিচের ওপর বসে।
কোথায় সেই ব্রিটিশ সুলভ ঔদ্ধত্য! এ যেন আত্মসমর্পণের ছবি। সতীর্থরা পাশে এসে কাঁধে টোকা মারার পর যাঁর সম্বিৎ ফিরেছিল যেন। শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে দেখতে দেখতে মাঠ ছেড়েছিলেন বিধ্বস্ত স্টোকস।
মাঝে ২ বছর আগে দেশকে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছেন স্টোকস। বিশ্বজয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন ইংরেজ অলরাউন্ডার। কিন্তু তবু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কার্যত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা কি ভুলতে পেরেছিলেন তিনি?
হয়তো পারেননি। যে শাপমুক্তি ঘটল মেলবোর্নে। পাকিস্তানের ১৩৭/৮ তাড়া করতে নেমে যখন প্রবল চাপে ইংল্যান্ড ইনিংস, হাল ধরলেন স্টোকস। পাক বোলারদের আগুনে স্পেলও তাঁকে টলাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত রইলেন স্টোকস। আর নিশ্চিত করে দিলেন যাতে, টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: শেষবেলায় ফের নায়ক স্টোকস, পাক বধ করে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্য়ান্ড