Neeraj Chopra on Social : সোনালি সাফল্যে সোশ্যালে সুপারহিট, ফেসবুক-ট্যুইটার সার্চে একেবারে উপরের দিকে নীরজ
ট্যুইটারে তৃতীয়, ফেসবুকে মেনশন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নীরজ।
নয়াদিল্লি : ফেসবুক, ট্যুইটার বা ইনস্টাগ্রাম, সবথেকে বেশি ব্যবহৃত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে সুপারহিট নীরজ চোপড়া। অলিম্পিক্সের সোনালি সাফল্যের জেরে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মেনশন' সবেতেই উজ্জ্বল ভারতীয় এই অ্যাথলিট। এই মুহূর্তে ট্যুইটারে তৃতীয় সর্বোচ্চ আলোচিত অ্যাথলিট নীরজ। ফেসবুকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মেনশনের তালিকাতেও রয়েছেন নীরজ চোপড়া।
গত ৭ অগাস্ট টোকিও অলিম্পিক্সের মঞ্চে ইতিহাস গড়ে নীরজ চোপড়া। ৮৭.৫৮ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মঞ্চ থেকে ভারতকে অ্যাথলেটিক্সে ঐতিহাসিক প্রথম সোনা এনে দেন নীরজ। আর যে নজিরের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে একলাফে ফলোয়ার্স সংখ্যা ১০ লক্ষ বেড়ে যায়। গুগলেও বেড়ে যায় ভারতের সোনার ছেলের সম্পর্কে খোঁজ-খবর। তাঁর কীর্তিকে সম্মান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতা-নেত্রী থেকে ক্রীড়াবিদ হয়ে অগণিত সাধারণ মানুষ শুভেচ্ছার ঢল জানান, আর যার জেরেই গত কয়েকদিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সার্চ-মেনশনের সংখ্যা।
এদিকে, নীরজের কীর্তিকে সম্মান জানাতে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এএফআই) মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছে ৭ অগাস্টকে ভারতে 'জ্যাভলিন থ্রো ডে' হিসেবে পালন করা হবে। খুদেরা যাতে জ্যাভলিন থ্রো'তে অংশ নিতে আরও আগ্রহী হয় তাই নীরজের কীর্তির দিনটিকে বিশেষভাবে পালনের কথা ঘোষণা করেন তারা। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে এদিন কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নীরজ। তিনি জানান, ২০১৫ সালে কেরল ন্যাশনালসে পঞ্চম স্থানে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে জাতীয় ক্যাম্পে সুযোগ দেওয়ার পরই কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায় বলে জানান তিনি।
অলিম্পিক্সের সাফল্যের জেরে আবেগ, ভালোবাসা ও সংবর্ধনা ভাসলেও তা নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে এখনই নিজের পরের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন ভারতের সোনার ছেলে। আগামী বছর মার্কিন মুলুকে আয়োজিত হতে চলা বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়াই লক্ষ্য নীরজের। পাশাপাশি হরিয়ানার ছেলের সাফ কথা, 'এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ এবং অলিম্পিক্সেও ফের সোনা জিততে চাই।' মাত্র ২৩ বছর বয়সে প্রথম অলিম্পিক্সে নেমেই সোনালি কীর্তি গড়া নীরজের হাতে যথেষ্ট সময় রয়েছে সাফল্যের আরও নতুন নজির গড়ার।