কোহলি বলেছেন, এই ইনিংসকে তিনি অ্যাডিলেডে চার বছর আগের ১৪১ রানের ইনিংসের পরে রাখছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ওই ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। যদিও ওই ম্যাচে হেরে যায় ভারত। কোহলি বলেছেন, অ্যাডিলেডে ভারত তখন টেস্টের পঞ্চম দিনে ৩৬৪ রান তাড়া করছিল। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরিকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি।
2/7
কোহলি হার্দিক পান্ড্য, উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার ব্যাট হাতে লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন কোহলি। তিনি বলেছেন, পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হার্দিক দারুণ ব্যাটিং করে। এরপর উমেশ ও ইশান্তও সাহায্য করেছে। এই কারণেই ইংল্যান্ডের স্কোরের এত কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার কৃতিত্ব আমি ওদেরও দিতে চাই। ওরা আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছে, যা আমাকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে।
3/7
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আরও একবার প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে গন্য করা হয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাঁর সংযমী ইনিংস ভারতীয় দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলেছে। অন্য প্রান্তে যখন একের পর এক উইকেট পড়ছে, তখন একটা দিক ধরে রেখে দলের স্কোর ২৭৪ রানে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। যদিও ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২৮৭ রানের থেকে ১৩ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ভারত। কিন্তু এরপরও বলা যায়, খাদের কিণারা থেকে ঘুরে দাড়িয়েছে ভারত।
4/7
একটা সময় ১০০ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল।এরপর ১৮২ রানে অষ্টম উইকেটের পতন হয়। সেখান থেকে কোহলির ১৪৯ রানের ইনিংসে ভর করে লড়াইটা ইংল্যান্ড শিবিরে পৌঁছে দিতে পেরেছে ভারত। কোহলির এই দৃষ্টিনন্দন ইনিংস সাজানো ছিল একটি ছক্কা ও ২২ টি চারে।
5/7
ম্যাচের শেষে এই ইনিংস নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন কোহলি। ইংল্যান্ডের মাঠে প্রথম সেঞ্চুরি করলেও ১৩ রানে পিছিয়ে থাকায় কিছুটা আফশোস হচ্ছে তাঁর। দলের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক।
6/7
কোহলি বলেছেন, এটা শুধু তিন অঙ্কের রান করার ব্যাপার নয়, আমি ক্রিজে যত বেশি সম্ভব থাকার চেষ্টা করেছি। আউট হওয়ার পর বেশ হতাশ লাগছিল। কারণ, আমরা ১০-১৫ রানের লিড নিতে পারতাম। আমি আমার প্রস্ততি নিয়ে খুশি। ওন্য কে কী ভাবছে, তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই।
7/7
কোহলি বলেছেন, একটা সময় পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু ওই সময় আমি পরিস্থিতি থেকে লাভ ওঠানোর কথা ভাবি। আমি পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। দলের স্কোর যতটা সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। এটা আমার শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার পরীক্ষাও ছিল। ইংল্যান্ডের স্কোরের এতটা কাছাকাছি পৌঁছতে পেরে খুশি হয়েছি।কোহলি বলেছেন, দল এখন টেস্টে পুরোদস্তুর লড়াইতে রয়েছে। আর দলকে সাহায্য করতে পারলে সবসময়ই খুব ভালো লাগে।