John Cena: দুই দশকের কেরিয়ারে ইতি, শেষ ম্যাচে পরাজিত হয়েই ডব্লুডব্লুইকে বিদায় জানালেন জন সিনা
WWE: ২০০২ সালে প্রথমবার ডব্লুই রিংয়ে মাঠে নামেন জন সিনা। নিজের কেরিয়ারে ১৭ বার ডব্লুডব্লুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জিতেছেন তিনি।

নয়াদিল্লি: জন সিনা, এক ডাকে এই নামটি প্রায় সকলেই চেনেন। ডব্লুডব্লুই দেখেন না, এমন ব্যক্তিরাও জন সিনাকে (John Cena) চেনেন। সেই জন সিনাই ডব্লুডব্লুই থেকে বিদায় নেবেন বলে আগে দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মতোই ১৭ বারের ডব্লুডব্লুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শনিবার নিজের শেষ ডব্লুডব্লুই ম্যাচ খেলে ফেললেন।
Saturday Night’s Main Event-এ জন সিনা নিজের শেষ ম্য়াচে ওয়াশিংটনে গুনথরের বিরুদ্ধে রিংয়ে নেমেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তিনি সেই ম্যাচ জিততে পারেননি। নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে সাবমিশনের মাধ্যমে পরাজিত হন জন সিনা। এই ম্যাচে রিংয়ে জন সিনাকে নিজের ইনরিং না না বিখ্যাত মুখ করতে দেখা যায়। তবে শেষমেশ স্লিপার হোল্ডের মাধ্যমে গুনথুর সিনাকে ম্যাচ ছাড়তে বাধ্য করেন।
One final goodbye.
— WWE (@WWE) December 14, 2025
Thank YOU, @JohnCena. 🫡 pic.twitter.com/hg8gNpbILG
তাঁর বিদায় বেলায় একদা তাঁর ইনরিং প্রতিপক্ষ থেকে ডব্লুডব্লুই সকলেই কৃতজ্ঞতা জানান। উপস্থিত দর্শকরাও 'ধন্যবাদ সিনা' ধ্বনিতে রিংয়ের তাঁকে বিদায় জানান। ম্যাচ শেষে সিনা নিজের জুতো, রিস্টব্যান্ড, আর্মব্যান্ড সবই রংয়ে ছেড়ে যান। এভাবেই তিনি নিজের বিদায় ঘোষণা করেন। শন মাইকেলস, রে মিস্তেরিও, ট্রিপল এইচ, সিএম পাঙ্ক, কোডি রোডস, এজে স্টাইলসের মতো মহাতারকা, কিংবদন্তিরা রিংয়ের চারিপাশে উপস্থিত হয়ে কিংবদন্তি সিনাকে বিদায় এক স্মরণীয় ভঙ্গিমায় বিদায় জানান। সিনা সকলের সামনে মাথা নত করে অভ্যর্থনা করেন।
২০০২ সালে প্রথমবার ডব্লুই রিংয়ে মাঠে নামেন জন সিনা। নিজের কেরিয়ারে ১৭ বার ডব্লুডব্লুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জিতেছেন তিনি। তবে এ বছরই যে ২৩ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানবেন তিনি, তা প্রায় ১২ মাস আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সিনা। তারপরেও কিন্তু তিনি রেসেলমেনিয়ার মেন ইভেন্টে রিংয়ে নামেন এবং সেখানেই ১৭তম চ্যাম্পিয়নশিপও জিতে নেন।
সিনার শেষ ম্যাচে কে তাঁর বিরুদ্ধে রিংয়ে নামবেন, সেই নিয়ে ১৬ জন প্রতিযোগীর মধ্যে একটি টুর্নামেন্টও হয়। সেখানে এলএ নাইটকে হারিয়ে গুনথুর সিনার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে নামার ছাড়পত্র পান। সেই ম্যাচে গুনথুর জিতলেনও। সিনার মতো মহাতারকার বিরুদ্ধে তাঁর শেষ ম্যাচে এই জয় গুনথুরের কেরিয়ারকেও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা নেবে বলে ধারণা অনেকের।






















