Ballon d'Or: বহু পিছনে রোনাল্ডো, ব্যালন ডি'অর জিতলেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ বেঞ্জেমা
Karim Benzema: রিয়ালের হয়ে গত মরসুমে লা লিগা এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন বেঞ্জেমা। মরসুমে ক্লাবের হয়ে ৪৬ ম্যাচে ৪৪টি গোল করে সেরা ফুটবলার হলেন বেঞ্জেমা।
প্যারিস: জল্পনা ছিলই, সেই জল্পনামতোই জিনেদিন জিদানের পর, আবারও ফরাসি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার উঠল এক ফরাসির হাতে। এ বছর ব্যালন ডি'অর (Ballon d'Or) জিতলেন রিয়াল মাদ্রিদ তথা ফ্রান্সের স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema)। রিয়ালের হয়ে গত মরসুমে লা লিগা এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন বেঞ্জেমা। মরসুমে ক্লাবের হয়ে ৪৬ ম্যাচে ৪৪টি গোল করে সেরা ফুটবলার হলেন বেঞ্জেমা।
অপরদিকে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ব্যালন ডি'অর তালিকায় ২০ নম্বর স্থানে শেষ করেছেন। ২০০৫ সালের পর থেকে এত পিছনে কোনওদিনও শেষ করেননি রোনাল্ডো। আরেক মহাতারকা ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসি এ মরসুমে ৩০ জনের তালিকাতেও ছিলেন না। ১৬ বছর পর ব্যালন ডি'অরের পোডিয়ামে রোনাল্ডো বা মেসির উভয়েই অনুপস্থিত ছিলেন। বেঞ্জেমার পর দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন বায়ার্ন মিউনিখের সাদিও মানে (Sadio Mane)। গত মরসুমে মানে লিভারপুলের হয়ে লিগ কাপ ও এফএ কাপ জেতেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছন। সেনেগালকে প্রথমবার আফকনও জেতান মানে। এর সুবাদেই তিনি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন।
প্রবীণতম ব্যালন ডি'অর জয়ী
পোডিয়ামের শেষ স্থান অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে জায়গা পান ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তারকা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন। পঞ্চম ফরাসি হিসাবে বেঞ্জেমা ব্যালন ডি'অর জিতলেন। এর আগে জিনেদিন জিদান শেষবার ১৯৯৮ সালে এই পুরস্কারটি জেতেন। ঘটনাক্রমে, নিজের আইডল জিদানের হাত থেকেই এই পুরস্কারটি পান বেঞ্জেমা। ১৯৫৬ সালে প্রথম ব্যালন ডি'অর জয়ী স্ট্যানলি ম্যাথিউজের পর বেঞ্জেমাই সবথেকে বেশি বয়সে ব্যালন ডি'অর জিতলেন। বিতর্কের জেরে বহুদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন বেঞ্জেমা। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলেও জায়গা পাননি তিনি। তবে গত বছরই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তারকা স্ট্রাইকার। এবার কাতারে নিজের দক্ষতা প্রমাণের জন্য ফের একবার মরিয়া হয়ে মাঠে নামবেন বেঞ্জেমা।
অন্যান্য পুরস্কার
অবশ্য করিম বেঞ্জেমা নন, গত বারের মতো এবারও সেরা ফরোয়ার্ড হওয়ার জন্য গার্ড মুলার পুরস্কারটি পান বার্সেলোনার স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কি। গত মরসুমের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন করিম বেঞ্জেমারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ থিবো কুর্তোয়া। তিনি ব্যালন ডি'অরের সকল খেলোয়াড়দের মধ্যে অবশ্য সপ্তম স্থানে শেষ করেন। জুড বেলিংহ্যাম, জামাল মুসিয়ালাকে হারিয়ে সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বার্সারই গাভি। প্রসঙ্গত, গত মরসুমে বার্সারই আরেক তরুণ পেদ্রি এই পুরস্কার জিতেছিলেন। সেরা মহিলা খেলোয়াড়েও বার্সারাজ। নাগাড়ে দ্বিতীয়বার অ্যালেক্সিয়া পুতেল্লাস এই পুরস্কার জেতেন।