প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড
মুম্বই: কাজে এল না অধিনায়ক বিরাট কোহলির লড়াকু শতরান। মুম্বইতে প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এদিন ভারতের রাখা ২৮১ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে অতি সহজেই পার করে কিউয়িরা। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে এদিনের রান তাড়ায় বড় অবদান রাখেন রস টেলর ও টম লাথাম। টেলর এদিন ৯৫ রান করেন। লাথাম অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। এই দুজন চতুর্থ উইকেটে ২০০ রান যোগ করেন। মূলত, এদিন লাথাম-টলরের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ভূবনেশ্বর-বুমরাহ-কুলদীপ-চাহাল-পাণ্ড্যকে। দুই ব্যাটসম্যানই অত্যন্ত কর্তৃত্বের সঙ্গে সামলান ভারতীয় বোলারদের।
টলরের ৯৫ সাজানো ছিল ৮টি চারে। অন্যদিকে, তুলনামূলক আগ্রাসী ছিলেন লাথাম। তাঁর ১০৩ রান সাজানো ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কায়। অন্যদিকে, ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কেউই সেরকম দাগ কাটতে পারেননি। ফলস্বরূপ, ৪৯ ওভারেই হাতে ৬ উইকেট নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কেন উইলিয়ামসনের ছেলেরা।
ছবি সৌজন্যে ট্যুইটারএর আগে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৮০ রান করে ভারত। ২০০-তম একদিনের ম্যাচে ১২১ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটা তাঁর ৩১-তম শতরান। শতরান করার পথে ভাগ্যের সাহায্যও পান বিরাট। ২৯ রানের মাথায় তাঁর লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন স্যান্টনার। এরপর আর বিরাটকে থামাতে পারেননি না কিউয়ি বোলাররা।
আজ শুরুতেই দুই ওপেনার শিখর ধবন (৯) ও রোহিত শর্মা (২০) এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কেদার যাদবের (১২) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। ধবন ও রোহিতের উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। কেদারকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। ৭১ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন বিরাট ও কার্তিক।
কার্তিক ভাল ব্যাাটিং করছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ৩৭ রানের মাথায় টিম সাউদির বলে পুল করতে গিয়ে কলিন মুনরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কার্তিক। এরপর বিরাটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু তিনিও ২৫ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হয়ে যান। শেষদিকে ভুবনেশ্বর কুমার ২৬ রান করেন। বোল্ট ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
ভারতীয় দল- শিখর ধবন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), দীনেশ কার্তিক, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (উইকেটকিপার), হার্দিক পাণ্ড্য, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও যুজবেন্দ্র চাহল।