Rohit Sharma : 'বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্ভাগা' রোহিতকে সান্ত্বনা হেডের
Travis Head : বিশ্বকাপের মঞ্চে সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। তারপর ফাইনালেও। ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে যে অনন্য নজির গড়লেন তিনি।
আমদাবাদ : ব্যাট হাতে আগুন ঝরাচ্ছিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। পার্ট টাইম স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওভারে একটা বাউন্ডারি হাঁকানোর পর ফের একবার মারতে গিয়ে করে ফেলেছিলেন বিপত্তি। তবে যতটা না সেটা ভারতীয় অধিনায়কের খারাপ শট, তার থেকে অনেকটা বেশি ট্রাভিস হেডের দুরন্ত ফিল্ডিংয়ের জেরে হিটম্যানের সাজঘরে ফেরার রাস্তা পাকা করা। খেলার শেষে রোহিত শর্মাকে 'বিশ্বের সবথেকে দুর্ভাগা' আখ্যা দিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন হেড।
বিশ্বকাপ ফাইনালের কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে প্রায় সকলেই একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, রোহিত শর্মার আউট হয়ে ফেরাই ক্রিকেটীয় বিশ্বযুদ্ধের আসল টার্নিং পয়েন্ট। তুলনামূলক আস্তে বল আসা পিচে ক্রমশ ভারতের রানের গতিতে কার্যত ব্রেক লাগে হিটম্যান আউট হয়ে ফেরার পর। তারপর ব্যাট হাতে নেমে ট্রাভিস হেডের (Travis Head) দুরন্ত শতরানে অস্ট্রেলিয়াকে হেক্সা জেতানো। তবে ব্যাটহাতে যে ভূমিকা অজি ওপেনার নিয়েছিলেন, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর ক্যাচটি। প্রায় ১১ মিটার পিছনে দৌড়ে গিয়ে রোহিতের তুলে দেওয়া বলটি তালুবন্দি করেছিলেন তিনি।
আর দুরন্ত ক্যাচ ও তাঁর ইনিংসের পর বিশ্বকাপ ফাইনালের (World Cup Final) সেরা ট্রাভিস হেড বলেন, 'ও (রোহিত শর্মা) এই মুহূর্তে বিশ্বের আনলাকিয়েস্ট ম্যান (সবথেকে দুর্ভাগা মানুষ)। হ্যাঁ, ফিল্ডিং ক্ষুরধার করতে মাঝে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছিলাম। তবে ক্যাচ হোক বা ফাইনালের মঞ্চে দলকে জেতানো শতরান, কোনটাই আগে থেকে ভাবিনি। পিছনের দিকে দৌড়ে ক্যাচটা ধরতে পারব, ভাবিনি।'
বিশ্বকাপের (World Cup 2023) মঞ্চে সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। তারপর ফাইনালেও। ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে যে অনন্য নজির গড়লেন তিনি। অপরদিকে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হল রোহিত শর্মাকে। আইসিসি-র বাছাই করা সেরা একাদশের দলের অধিনায়ক হলেও হিটম্যান হয়তো জীবনে কখনও ভুলতে পারবেন না আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মারতে গিয়ে ওভাবে আউট হয়ে যাওয়াটা।
চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ঝোড়ো গতিতে রান তুলে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। যে ধারা বজায় ছিল ফাইনালেও। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের মঞ্চে শেষল্যাপে এভাবে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যাওয়ার আফশোষ হয়তো কখনও কাটবে না রোহিত শর্মার। অন্য দিন হলে হয়তো বলটা বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে পড়ত। কিন্তু 'দুর্ভাগ্য' যে প্রয়োজনের দিনে সেটা হল না।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের সেরা একাদশে ভারতের ৬, অস্ট্রেলিয়ার ২ ক্রিকেটার, ব্রাত্য ফাইনালের নায়ক!