এক্সপ্লোর
Advertisement
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রানের বন্যা, সচিন বললেন, দুটি সাদা বলের ব্যবহার 'বিপর্যয়ের প্রকৃত উপাদান'
নয়াদিল্লি: একদিনের ক্রিকেটে এখন রানের বন্যা। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক তো এবার ৫০০ রান তোলার লক্ষ্যের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের দাপটে বোলারদের রীতিমতো বিপন্ন দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের স্বার্থেই একদিনের ম্যাচে প্রতি ইনিংসে দুটি করে সাদা বল ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং স্তম্ভ সচিন তেন্ডুলকর। তিনি দুটি সাদা বলের ব্যবহারকে 'বিপর্যয়ের প্রকৃত উপাদান' বলে মন্তব্য করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি একদিনের সিরিজে ঝুড়ি ঝুড়ি রান তুলছে ইংল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচে রেকর্ড ৪৮১ রান তোলে ইংল্যান্ড। রানের এই বন্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
একদিনের ক্রিকেটে একটা সময় বোলাররাও সমান দাপট দেখাতেন। তাঁদের বিধ্বংসী বোলিং ব্যাটসম্যানদের মনে কাঁপুনি ধরিয়ে দিত। কিন্তু সেদিন গিয়েছে। ব্যাট-বলের লড়াই কার্যত এক তরফা হয়ে উঠেছে। ১০ বছর আগের তুলনাতেও এখন ব্যাটসম্যানদের পক্ষে রান করাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এখন 'ভালো উইকেট' বলতে বোঝানো হয়, যেখানে রান উঠবে। বোলার সহায়ক উইকেটকে 'খারাপ' তকমা দেওয়া হয়। আর একপেশে হয়ে পড়ার এই ধারাটিই যেন তুঙ্গে উঠেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে। অজি বোলিং অ্যাটাককে দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ছয় উইকেটে ৪৮১ রান তোলে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া ২৪২ রানে হারে। এটাই তাদের একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। রানের এই বন্যায় সারা ক্রিকেট বিশ্বই চমকে গিয়েছে।
৫০০ রান একটা সময় অসম্ভব মনে হত, একদদিনের ক্রিকেটে। এখন তা কার্যত ধরাছোঁয়ার মধ্যে চলে এসেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সচিন ট্যুইটারে দুটি নতুন বলের ব্যবহারকে বিপর্যয়ের প্রকৃত উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে দুটি বলের ব্যবহারের ফলে তা খুব পুরানো হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে রিভার্স সুইং দেখা যাচ্ছে না। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই ডেথ ওভারেই রিভার্স সুইং বোলারদের অন্যতম হাতিয়ার।
চতুর্থ একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ৩১০ রান করে। সেই রান তাড়া করে ৩২ বল বাকি থাকতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। একদিনের ক্রিকেটে সাদা বল ব্যবহার করা হয়। লাল বলের তুলনায় এই বল কম সুইং করে। ফলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে খেলাটা সহজ হয়। প্রতি ইনিংসে দুটি নতুন বল চালু করার সময় মনে করা হয়েছিল, এতে জোরে বোলাররা সাহায্য পাবেন। কিন্ত তা তো হয়েইনি। বরং বল পুরানো হওয়ার সুযোগও থাকছে না। তাই বোলাররা রিভার্স সুইং করাতে পারছেন না। ২০১১-তে এই নিয়ম চালু হয়।Having 2 new balls in one day cricket is a perfect recipe for disaster as each ball is not given the time to get old enough to reverse. We haven’t seen reverse swing, an integral part of the death overs, for a long time. #ENGvsAUS
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) June 21, 2018
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement