![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Boris Becker: জালিয়াতি! আড়াই বছরের জেল কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের
ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হল প্রাক্তন টেনিস তারকা বরিস বেকারকে (Boris Becker)। ২০১৭ সালেই নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দিয়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি।
![Boris Becker: জালিয়াতি! আড়াই বছরের জেল কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের UK judge jails former tennis star Boris Becker for two and a half years Boris Becker: জালিয়াতি! আড়াই বছরের জেল কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/04/29/684b39224e4497afe7e34faf81c5583c_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হল প্রাক্তন টেনিস তারকা বরিস বেকারকে (Boris Becker)। ২০১৭ সালেই নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দিয়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি। পরে জানা যায়, তিনবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন আসলে বিরাট সম্পত্তির কথা গোপন করে গিয়েছিলেন।
সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আড়াই বছরের জেল হল বরিস বেকারের। জার্মান এই টেনিস প্লেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল প্রাক্তন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন লক্ষ পাউন্ড ট্রান্সফার করেও তা গোপন করেন। পাশাপাশি অনেক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বরিস। উইম্বলডন ট্রফি, জার্মানিতে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে।
স্পেনের মায়োরকায় একটি সম্পত্তি কিনতে তিন লক্ষ পাউন্ড ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেন তারকা টেনিস প্লেয়ার। তবে সেই ঋণের কিস্তি তিনি শোধ করেননি। নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বেকার। আদালতের সামনে তিনি জানান, তাঁর দুটি উইম্বলডন খেতাব খোয়া গিয়েছে। তবে পরে দেখা যায়, বিভিন্ন অনলাইন সংস্থা থেকে অনেক টাকার জিনিস কিনেছেন তিনি। তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও অবাক করা তথ্য। দুই প্রাক্তন স্ত্রী বারবারা ও লিলি সহ মোট নয় জনের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা পাঠিয়েছেন।
নিজেকে যখন দেউলিয়া ঘোষণা করেন তিনি, তখন নিজের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির পুরো তালিকা দেননি বরিস। সেই ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হয়, বরিস বেকার দেউলিয়া। এই অভিযোগ ওঠার পর বরিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে। তদন্তে জানা যায়, তিনি সঠিক তথ্য দেননি। ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ সালে উইম্বলডন, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন ও ১৯৯২ সালে অলিম্পিক্স সোনা জয়ের কথা তিনি জানাননি। এমনকী, নিজের মার্সিডিজ বিক্রি করে পাওয়া ১.১৩ মিলিয়ন ইউরো তিনি লুকিয়েছিলেন। অভিযোগ, জার্মানিতে থাকা তাঁর দুটো সম্পত্তির পাশাপাশি প্রায় সাড়ে আট লক্ষ ইউরোর ব্যাঙ্ক লোনও লুকিয়েছিলেন বেকার।
বেকারের মামলার বিচারক ডেবোরা টেলর বলেছেন, এই ঘটনার জন্য বরিস কোনও অনুশোচনা দেখাননি। এমনকি বরিস নিজের অপরাধ স্বীকারও করেননি। বিচারপতিরা বরিসকে সম্পত্তি লুকিয়ে রাখার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)