IND vs PAK: বিশ্বকাপেও পাল্লা ভারী রোহিতদেরই, ১৪ অক্টোবর ভারত-পাক দ্বৈরথের দিকে তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা
World Cup 2023: ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে আবার ভারতে খেলতে আসছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মূলপর্বে নামার আগে তারা দুটো ওয়ার্ম আপ ম্য়াচ খেলবে নিউজিল্য়ান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
মুম্বই: ভারতের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। আর সেখানে পাকিস্তান নেই, এমনটা আবার হয় নাকি! ২ দলের মুখােমুখি মহারণকে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু আচমকাই কিছুদিন আগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভিসা সমস্যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পিসিবির কাছে। ভারতে আসার ছাড়পত্র না পেয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। যদিও পিসিবিকে দেওয়া উত্তরে, আইসিসি জানিয়ে দিয়েছিল, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভিসার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পরই মাঠের বাইরের ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়ে যায়।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে আবার ভারতে খেলতে আসছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মূলপর্বে নামার আগে তারা দুটো ওয়ার্ম আপ ম্য়াচ খেলবে নিউজিল্য়ান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। মূলপর্বের ম্যাচে ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস ও ১০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। এরপর ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। পিসিবি আইসিসিকে অভিযোগ জানিয়েছিল, ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের ঢিলেমির জন্য পাক দলের ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয় ভারত সরকারের তরফে। এদিকে, এই ঘটনার মধ্য়েই বাবর আজমের একটি মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলে বসেন, ''শুনেছি যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের প্রত্যেক ম্যাচের টিকিটই নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে, সেটাও কানে এসেছে। ভারতের অনেকে ক্রিকেট সমর্থক যে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিষয়টা দেখে ভালোই লাগছে।'' নিজের দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকের উস্কানিমূলক প্রশ্নে তারকা পাক পেসার হ্যারিস রউফ বলেন, ''ভারতের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি, যুদ্ধ করতে যাচ্ছি না।''
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেষবার ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান। এরপর থেকে রাজনৈতিক কারণেই দু'দেশের সফর বন্ধ। কেন্দ্রের সবুজ সংকেত না মেলায় এবারের এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যায়নি ভারতীয় দল। তার বদলে ভারতের সব ম্যাচই আয়োজিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এশিয়া কাপ আর ওয়ান ডে বিশ্বকাপকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল পিসিবি। পরে যদিও সিদ্ধান্ত বদল হয়। আগে পিসিবি জানিয়েছিল, বিনা শর্তে তারা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসবে। পরবর্তীতে যদিও বেঁকে বসে বাবর আজমের দেশের ক্রিকেট বোর্ড। তারা দাবি তোলে টিম ইন্ডিয়া যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না আসে, তা হলে বাবরদেরও ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপে না খেলাই উচিত। যদিও পিসিবির কোনও চালই কার্যত মেনে নেয়নি বিসিসিআই। রজার বিনির বোর্ড পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল এশিয়া কাপে খেলতে পাকিস্তানে কোনও মতেই যাবে না ভারত। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার মাটিতেই হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ভারত। এমনকী বিসিসিআইয়ের কাছে আরও একটি বিষয় সুর নরম করতে বাধ্য হয় পিসিবি। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে খেলতে যে ভারতে আসছে পাক দল, তা জানিয়ে দেওয়া হয় পিসিবির তরফে।
গত এশিয়া কাপে শেষবারের সাক্ষাতে ২২৮ রানে জয় পেয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপের মঞ্চেও দু দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে পাল্লা ভারী টিম ইন্ডিয়ারই। সাতবারের সাক্ষাতে ৭ বারই জয় পেয়েছে তারা। এবার কি খাতা খুলতে পারবেন শাহিন, শাদাবরা? নাকি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। উত্তর মিলবে ১৪ অক্টোবরই।