(Source: Poll of Polls)
WPL 2024: হ্যাটট্রিক করে নজির দীপ্তির, শেষ বলের থ্রিলারে দিল্লি বধ ইউপি ওয়ারিয়র্সের
Deepti Sharma: বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা দীপ্তি। প্রথমে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান হাঁকালেন। পরে বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে ১৯ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৪ উইকেট।
নয়াদিল্লি: উনিশতম ওভারের আগে পর্যন্ত দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের (Arun Jetly Stadium) দর্শকরা নিশ্চিত ছিলেন যে তাঁরাই জিতছেন। দিল্লি ক্যাপিটাস আরও একটা জয় ছিনিয়ে নিতে চলেছে ঘরের মাঠে। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন বোধহয় দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma)। তিনি এলেন। আর মেগ ল্যানিংয়ের দলের লোয়ার অর্ডারে ভাঙন ধরিয়ে দিলেন পরপর। প্রথম ভারতীয় হিসবে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের (Womens Premier League) মঞ্চে হ্যাটট্রিক করলেন বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা দীপ্তি। প্রথমে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান হাঁকালেন। পরে বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে ১৯ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। শেষ বলের থ্রিলারে ১ রানে ম্য়াচ জিতে নিল ইউপি ওয়ারিয়র্স।
এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩৮ রান বোর্ডে তুলেছিল ইউপি ওয়ারিয়র্স। দীপ্তি ব্যাট হাতে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন প্রথমে। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান দীপ্তি। ইয়ান হিলি ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। ৫টি বাউন্ডারি হাঁকান। কিরণ নভগিরে ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। গ্রেস হ্যারিস ১৪ রান করেন। এছাড়া ইউপি ওয়ারিয়র্সের আর কোনও ব্যাটারই বড় রান পাননি। দিল্লি বোলারদের মধ্যে ২টো করে উইকেট নেন তিতাস সাধু ও রাধা যাদব। ১ উইকেট নেন শিখা পাণ্ডে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেগ ল্যানিং ও শেফালি ভার্মা শুরুটা ভালই করেছিলেন। দিল্লির ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। ৬০ রান করেন তিনি। তবে শেফালি এদিন রান পাননি। ১৫ রান করে আউট হন তিনি। এলিস ক্যাপসিও ১৫ রান করেন। জেমিমা রডরিগেজ ১৭ রান কর আউট হন।
শেষ ২ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। দীপ্তি শর্মার হাতে বল তুলে দিলেন এলিসা হিলি। নিজের শেষ ওভার করতে এসেছিলেন ভারতের এই অলরান্ডার। ইনিংসের ১৪ তম ওভারের শেষ বলে মেগ ল্য়ানিংকে বোল্ড করেছিলেন দীপ্তি। উনিশতম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড করে দিলেন অ্যানাবেলা সাদারল্যান্ডকে। এরপরের বলে আউট করলেন অরুন্ধতী রেড্ডিকে। এরপর শিখা পাণ্ডেকে নিজেরই বলে ক্যাচ নিয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখালেন। শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১০ রান। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান গ্রেস হ্যারিস। এরপরের বলে ২ রান নেন তিনি। ৪ বলে দরকার ছিল ৪। হাতে তখনও ৩ উইকেট। সেখান থেকেই পরের তিন বলে তিনটি উইকেট খুইয়ে ম্য়াচ হেরে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।