Burdwan University: বন্ধুত্ব,প্রেমের স্বীকারোক্তি,সরস্বতী পুজোয় তত্ত্ব বিনিময় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে
ABP Ananda Live: বাগদেবীর আরাধনার সঙ্গেই জড়িয়ে বাঙালির মন দেওয়া নেওয়া। জাগ্রত বসন্তে প্রেমের স্বীকারোক্তিতে তাই নেই কোনও রাখঢাক। তবে হাঁটুগেড়ে বসে প্রেম নিবেদন নয়, ‘তত্ত্ব’ পাঠিয়ে বেঁধে বেঁধে থাকার অঙ্গীকার। সরস্বতী পুজোর পর দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসে কার্যত এভাবেই উদযাপিত হয় প্রেম ও বন্ধুত্ব। বিয়ের অনুষ্ঠানেই সাধারণত তত্ত্বের আদানপ্রদান হয় বাঙালি বাড়িতে। বিয়ের দিন গায়ে হলুদের তত্ত্ব যায় ছেলের বাড়ি থেকে। আবার ফুলশয্যায় মেয়ের বাড়ি থেকে যায় তত্ত্ব। সেই রীতিরই অনুসারী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তত্ত্ব’। হস্টেলের আবাসিকদের কাছে এ যেন পছন্দের মানুষের প্রতি প্রেমের স্বীকারোক্তি, তাঁকে উপহার দেওয়ার উপলক্ষ্য। সরস্বতী পুজো বরাবরই বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেম যেন উদযাপিত হয় সরস্বতী পুজোর পর দিন। এদিন ছেলেদের হস্টেল থেকে মেয়েদের হস্টেলে ‘তত্ত্ব’ যায়। আবার মেয়েদের হস্টেল থেকে ‘তত্ত্ব’ যায় ছেলেদের হস্টেলেও। ফলমূল, বাদাম, চকোলেট, অনেক কিছুই থাকে সেই তত্ত্বে। বছরের এই একটি দিনই মেয়েদের হস্টেলে অবাধ প্রবেশ ছেলেদের। ছেলেদের হস্টেলে যেতে বাধার সম্মুখীন হন না মেয়েরাও। রীতিমতো শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি সহযোগে ‘তত্ত্ব’ নিয়ে পরস্পরের হস্টেলে পৌঁছন ছেলেমেয়েরা। প্রেম ও বন্ধুত্বের এমন উদযাপন দেখতে হাজির হন সাধারণ মানুষও। ছেলেমেয়েদের রাস্তা ছেড়ে দেন তাঁরা। পড়ুয়াদের সাফ কথা, “ক্যাম্পাসেই তো প্রেম হবে!” তাই বছরভর পড়াশোনা, দায়-দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, এই একটি দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন পড়ুয়ারা।
ছাত্রাবাসগুলিতেও একই ভাবে উদযাপিত হয় এই তত্ত্ব প্রথা। বিবেকানন্দ, অরবিন্দ, নেতাজি ছাত্রাবাসের মতো ছাত্রাবাসগুলিতে ছাত্ররা বেঁধে থাকার অঙ্গীকার করেন পারস্পরিক তত্ত্ব আদানপ্রদানের মাধ্যমে।

















