SSC Hearing : চাল এবং কাঁকর কীভাবে সম্ভব আলাদা করা ? দোলাচলে ভুগছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা
ABP Ananda LIVE : দোলাচলে ভুগছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু, চাল এবং কাঁকর কীভাবে আলাদা করা সম্ভব বা যোগ্য ও অযোগ্যদের কী করে পৃথকীকরণ সম্ভব সেটা নিয়ে কোনও ঐক্যমতে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এনিয়ে কোনও পক্ষের আইনজীবীই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। কতজন যোগ্য এবং কতজন অযোগ্য আছেন... তা নিয়েও কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠে আসছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। আজ কমিশনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চার্জশিট অনুযায়ী কতজনকে অবৈধ নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির সেই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানায়, ৫১০০। অথচ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন সংখ্যাটা ১০ হাজার ৭৫০। অর্থাৎ, কতজন অবৈধ সেটা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তার পরে তো পৃথকীকরণ। সেই পৃথকীকরণের প্রক্রিয়া নিয়েও কোনও ঐক্যমতে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকরা ?
শিক্ষিকা বলেন, "হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা আশার আলো দেখছি। কারণ, আমরা কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কোনও জায়গায় কোনওভাবেই আমরা টাকা দিয়ে চাকরি পাইনি। টাকার বিনিময়ে আমরা চাকরি পাইনি। তারজন্যই আমরা আজ এই ওয়াই চ্যানেলে ২৭ ডিসেম্বর থেকে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি...যেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে থাকার কথা...সেখানে আমরা দুশ্চিন্তায় ভুগছি। কারা করল দুর্নীতি, আর তার শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে কাদের ! আজ আমরা এই আশাটাই তারজন্য রাখছি যে যোগ্য এবং অযোগ্য পৃথকীকরণ সম্ভব। আগে সিবিআই এটি তদন্ত করেও দিয়েছিল। তারজন্যই আজ টেন্টেড এবং আন-টেন্টেড কথাটি উঠে আসছে। আজ আমরা যোগ্য নই কে বলল ? আমরা যোগ্যতম। তারজন্যই আজ আমরা ওয়াই চ্যানেলে এভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আশা রাখছি, আমাদের জন্য সুবিচার আসবে। সত্যের জয় হবে এবং আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত হব। আবার আগের মতো করে আমরা পৌঁছে যেতে পারব...এই আশাই রাখি। "




















