Mamata Banerjee leg Injury: মুখ্যমন্ত্রীর উপর 'হামলা', পায়ে-মাথায় আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর
নন্দীগ্রামে গিয়ে পায়ে চোট পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কলকাতায় আনা হল তৃণমূলনেত্রীকে। আজ নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল তাঁর। এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, চক্রান্ত করে ধাক্কা মারে চার-পাঁচজন। রেয়াপাড়ায় একটি মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, ৪-৫ জন তাঁকে ধাক্কা মারে। প্রচণ্ড ভিড় ছিল সেই সময়। চোট পাওয়ার পর তিনি গাড়ির সামনের সিটেই বলেছিলেন। পরে যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে পিছনের সিটে বসানো হয়।
তাঁর এই আঘাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের পুলিশমন্ত্রী যদি বলেন পুলিশ ছিলেন না তাহলে দুর্ভাগ্যের কথা। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তিনি তো পুলিশমন্ত্রীও বটে। পুলিশের মালিক তিনি। তাঁর উপর যখন হামলা হল ঠিক তখনই পুলিশ নেই। হামলাতে শুধুমাত্র তাঁর পায়েতেই লাগল। নন্দীগ্রামেই হল। সেখানে ভোটের প্রচারের জন্য আবেগ, সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে হবে। মেয়েদের উপর হামলা হচ্ছে প্রমাণ করতে হবে। এগুলি নির্বাচনের এক একটা অঙ্গ বলে আমি মনে করি। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ বাংলার দিদি আর দেশের মোদি নাটক করতে একে অপরের পরিপূরক। তাই এইসব ভন্ডামিতে আমি বিশ্বাস করি না। এটা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভন্ডামি। রাজনৈতিকভাবে সেন্টিমেট তৈরি করতে চাইছেন।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই আঘাত নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতা অর্জুন সিংহ (Arjun Singh) বলেন, "ওঁনাকে কে হামলা করবে? তার মানে উনি পুলিশমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্য নন। এখনও কেয়ারটেকার আছেন। ওঁনার রিজাইন দেওয়া উচিৎ। ওঁনার সঙ্গে যে যে আইপিএস অফিসার ছিলেন সবাইকে সাসপেন্ড করা উচিত। কেউ যদি মেরে থাকে তাকে ফাঁসি দেওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যান তার দুই কিলোমিটার আগে থেকে রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। ওঁনার উপর হামলা হবে? এটা মিথ্যে কথা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেন। সিম্পাথি নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবারও তাই করছেন। উনি হারবেন তা নিজে জানেন। সেই জন্য এই নাটক করছেন।"
মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকাল মানুষের সঙ্গে মেশেন। সেই সুযোগ নিয়ে তাঁকে এইভাবে ধাক্কা মারা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। ভালরকম চোট পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় পুলিশের যে যে ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল সেগুলি সেভাবে নজরে পড়েনি। ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং ইঙ্গিতবাহী। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। তাঁর যথাযথ নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। যাঁরা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভীত এবং উদ্বিগ্ন তারাই এই ধরনের উদ্বেগজনক, ভারসাম্যহীন, অপরিণত ঘটনা ঘটিয়েছে।"