Nandigram Case: মানহানির দায়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা বিচারপতি কৌশিক চন্দের
নন্দীগ্রাম মামলা (Nandigram Case) থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ (Kaushik Chanda)। তবে সরে দাঁড়ানোর আগে বিচারপতি এবং বিচারবিভাগের মানহানির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন তিনি।
নন্দীগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলা যায়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ ছিল। তিনি একসময় বিজেপির (BJP) হয়ে একাধিক মামলাও লড়েছেন বলে দাবি করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি (Abhishek Manu Singhvi)। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিচারপতি কৌশিক চন্দ এই যুক্তি খারিজ করে বলেন, যে কোনও আইনজীবী যে কোনও দল বা ব্যক্তির হয়ে মামলা লড়তেই পারেন। আইনজীবী হিসেবে এটা তাঁর অধিকার। অন্য এজলাসে মামলা সরানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনও করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর তরফে।
আজ বিচারপতি চন্দ জানিয়ে দেন, তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। সেইসঙ্গেই তিনি নির্দেশ দেন, যেহেতু স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের আপত্তির কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে বিচারপতি ও বিচারবিভাগের মানহানি হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল। এই টাকা জমা দিতে হবে বার কাউন্সিলে।
তবে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে জরিমানার নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রাম মামলা থেকে বিচারপতি কৌশিক চন্দ সরে দাঁড়ানোয় এখন মামলাটি যাবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। তিনিই ঠিক করবেন এরপর কোন বিচারপতির এজলাসে মামলার শুনানি হবে।