Assam Floods : অসমে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষর বেশি মানুষ
Flood : এদিন সকাল ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ফোন করে অসমের বন্যা পরিস্থিতির কথা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গুয়াহাটি : অসমে বন্যায় (Assam Floods) আরও নয় জনের মৃত্যু। এনিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। অসমের হোজাই, নলবাড়ি, বাজালি, ধুবরি, কামরুপ, কোকড়াঝাড়, সোনিতপুর জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে ২৮টি জেলার ১৮.৯৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সকাল ৬টায় প্রধানমন্ত্রী (PM) ফোন করে অসমের বন্যা পরিস্থিতির কথা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতি-
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্যার জেরে এই মুহূর্তে অসমের ২ হাজার ৯৩০টি গ্রাম জলের তলায়। বন্যা-কবলিত জেলার ৪৩৩৩৮.৩৯ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। রাজ্যের বেকি, মানস, পালগাদিয়া, পুথিমারি, জিয়া ভারালি, কপিলি ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
বন্যায় ১,০৮,১০৪ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁরা জেলা প্রশাসনের তৈরি ৩৭৩টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁর মধ্যে শুধুমাত্র বাজালি জেলাতেই ৩.৫৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এর পরে দারাংয়ে ২.৯০ লক্ষ মানুষ, গোয়ালপাড়ায় ১.৮৪ লক্ষ মানুষ, বরপেটায় ১.৬৯ লক্ষ মানুষ, নলবাড়িতে ১.২৩ লক্ষ মানুষ, কামরুপের ১.১৯ লক্ষা মানুষ ও হোজাই জেলার ১.০৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
গত মাসেও অসমে (Assam) বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কাছাড় জেলার শিলচরে (Silchar) জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সরকারি সূত্রে জানা যায়, অসমের ২২টি জেলার সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যা (Flood) কবলিত। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত নগাঁও। শুধুমাত্র এই জেলাতেই সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত। বন্যায় প্লাবিত হয় রাজ্যের সতেরোশোরও বেশি গ্রাম। প্রায় ৯৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যায়।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। একাধিক এলাকায় শুধুমাত্র নৌকার মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানায়, বরপেতা, বিশ্বনাথ, কাছাড়, দারাং, গোলপাড়া, গোলাঘাট, জোরঘাট, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মজুলি, নগাঁও, শোনিতপুরের মতো জেলায় ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৪০ জন ক্ষতিগ্রস্থ হন।