Budget 2025: গ্রামীণ অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় এবার পোস্টঅফিস, বাজেটে ঘোষণা নির্মলার
Nirmala Sitharaman: শনিবার সংসদে তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের বাজেট পেশ করেন সীতারামন।

নয়াদিল্লি: গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে পোস্ট অফিস সংস্করণের ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট বরাদ্দ করতে গিয়ে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানিয়েছেন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে 'ডাকসেবক'রা নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবেন। পোস্ট অফিসগুলিকে বৃহত্তর গণ সংগঠনে পরিণত করা হবে। (Budget 2025)
শনিবার সংসদে তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের বাজেট পেশ করেন সীতারামন। সেখানে তিনি জানান, গ্রামীণ এলাকায় এই মুহূর্তে ১.৫ লক্ষ পোস্ট অফিস রয়েছে। সেখানে কর্মরত ২.৪ লক্ষ 'ডাকসেবক'কে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নির্ধারকের ভূমিকায় রাখা হবে। ভারতীয় পোস্ট অফিসকে বৃহত্তর গণ 'লজিস্টিক' সংগঠনে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্ত্রী। (Nirmala Sitharaman)
অর্থাৎ গ্রামীণ অর্থনীতিতে পণ্য সরবরাহ থেকে সঞ্চয় এবং সরবরাহে পোস্ট অফিস নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সীতারামন। পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের পরিষেবা গ্রামীণ এলাকায় বাড়ানো হবে আগামী দিনে। এতে কারিগর, নতুন ব্যবসায়ী, মহিলা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোকজন বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন নির্মলা। এমনকি বড় ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিও এতে উপকৃত হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।
সরকারি দেশের অর্থনীতির ডিজিটালকরণের উপর জোর দিলেও, গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি এখনও অনেকাংশে পোস্টঅফিস নির্ভর। কেন্দ্রীয় সরকারের জনসংযোগ বিভাগের অধীনস্থ পোস্টঅফিসের ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখেন বহু মানুষ। শুধু টাকা জমা রাখাই নয়, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করেন। পোস্ট অফিসের MIS-এ বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যে পরিসংখ্যান সামনে আসে, সেই অনুযায়ী, পোস্টঅফিসের পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন করেন ৯ কোটির বেশি মানুষ। তাই এই ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আগামী দিনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে পোস্টঅফিসের ভূমিকা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। নির্মলা জানিয়েছেন, সমবায় ক্ষেত্রে ঋণ পরিষেবার রাস্তা সহজ করে দিতে National Cooperative Development Corporation-কে সবরকম সহযোগিতা প্রদান করবে কেন্দ্র। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় ইঞ্জিন বলে উল্লেখ করেন নির্মলা। তিনি জানান, দেশে যে ৫.৭ কোটি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প রয়েছে, তার মধ্যে ১ কোটি সরকারি ভাবে নথিভুক্ত। সেখানে ৭.৫ কোটি কর্মস্থান হয়। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপর দেশের ৩৭ শতাংশ উৎপাদন নির্ভরশীল এবং সেখান থেকেই দেশের ৪৫ শতাংশ পণ্য সরবরাহ হয় বলে জানান নির্মলা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
