Calcutta Medical College: ২৪ ঘণ্টা পার, নির্বাচনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অনশনে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা
২ জন অধ্যাপককে চলে যেতে বলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, ওই দুই অধ্যাপক পড়ুয়াদের হেনস্থা করেন। অভিযোগ অস্বীকার মেডিক্যাল কলেজের দুই অধ্যাপকের।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ২৪ ঘণ্টা পার। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অনশনে মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) পড়ুয়ারা। এদিন আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে অনশন মঞ্চে যান মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ। ২ জন অধ্যাপককে চলে যেতে বলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, ওই দুই অধ্যাপক পড়ুয়াদের হেনস্থা করেন। অভিযোগ অস্বীকার মেডিক্যাল কলেজের দুই অধ্যাপকের।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ একাধিক দাবিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসল পড়ুয়াদের একাংশ। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে Calcutta Medical College) জারি অচলাবস্থা। আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, ২২ ডিসেম্বরই করতে হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তবে ওই দিন ভোট করা সম্ভব নয়। পরিষেবা না মেলার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ ভিন রাজ্যের এক বাসিন্দা।
ছাত্র-আন্দোলন ঘিরে অচলাবস্থা অব্যাহত কলকাতা মেডিকেল কলেজে। অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসল আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়াদের একাংশ। পরিষেবা না মেলার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ শিশুপুত্রের চিকিৎসার জন্য বিহার থেকে আসা এক ব্যক্তি।
৩ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে অনশন শুরু করেছেন ৫ পড়ুয়া। আন্দোলনকারীদের দাবি, নোটিসে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করতে হবে। মঙ্গলবার ঘেরাও চলাকালীন কার ষড়যন্ত্রে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হল, তা তদন্ত করে বের করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
এবং মঙ্গলবার অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন, যে অধ্যাপক পড়ুয়াদের ওপর চড়াও হন, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত। চিকিৎসক পড়ুয়াদের একাংশের হাতে ঘেরাও হন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ একাধিক বিভাগীয় প্রধান। আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ ওঠে! এই পরিস্থিতিতে বুধবার, দুপুরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। কিন্তু দেখা যায়, সেই সময় তালাবন্ধ অধ্যক্ষের চেম্বার।
এরপরই, তিন দফা দাবিতে নতুন করে, অনশন কর্মসূচির ডাক দেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় অনশন। অন্যদিকে, চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শিশুপুত্রের চিকিৎসার জন্য বিহার থেকে আসা এক বক্তি।
তাঁর আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তর অভিযোগ, হাসপাতালে অচলাবস্থার জন্য তাঁর শিশুপুত্রের কিডনির অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ন বিভাগ বন্ধ, বলে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী সোমবুদ্ধ দত্ত। যদিও ছাত্রদের আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কোনও কাজে বাধা দেওয়া হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রতি বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর নির্দেশ, নিশ্চিত করতে হবে যেন অস্ত্রোপচার নির্বিঘ্নে হয়। বিচারপতি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫ টার মধ্যে যেন গোটা প্রক্রিয়া যেন নির্বিঘ্নে হয়। আমি চাই, এটা সবার ক্ষেত্রে কার্যকর হোক। কিন্তু, যেহেতু এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, তাই আমি নির্দেশ হিসাবে দিতে পারি না।