Raidighi Fire:গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুন রায়দিঘির কাশীনগর বাজারে
Raidighi Fire:গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘির কাশীনগর বাজারের ৪টি দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি দোকানও।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুনে (Raidighi Market Fire) পুড়ে ছাই হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘির কাশীনগর বাজারের ৪টি দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি দোকানও। এলাকাবাসীর চোখেমুখে এখনও ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।
বিশদ...
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কাল, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাজারের একটি মিষ্টি দোকানে প্রথম আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া ভূসিমাল, ওষুধ এবং ফাস্টফুডের দোকানগুলিতে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, মিষ্টির দোকানে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ওই আগুন আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা বুঝতে পেরে দমকলকে খবর দেন। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর থেকে দমকল পৌঁছতে বেশ কিছুক্ষণ দেরি হয়। তত ক্ষণে বালতি ও ড্রামে জল এনে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা ৪টি দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরও কয়েকটি দোকানে। পরে দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীও পৌঁছে যায়। স্থানীয়দের ভিড় সরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে আসেন রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতাও। সোমবার রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ ও দমকলের ধারণা, মিষ্টির দোকানের আঁচ থেকেই আগুন লেগেছিল। তদন্ত চলছে।
আগুনের ঘটনা...
এই রাজ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিরল নয়। তবে বাজারের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন যে বিপদের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়াতে পারে, সে কথাও অজানা নয়। গত ডিসেম্বরেই যেমন কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির বাজারে আগুন এলে একাধিক দোকান ভস্মীভূত দোকান হয়ে যায়, ৯ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে ২ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন বলে খবর। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে, গত জুলাই মাসে, বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হাওড়ার মঙ্গলাহাট। ১ হাজার দোকান ছাই হয়ে গিয়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাতে হয় দমকলের ১৮টি ইঞ্জিনকে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে। আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রা।