Dengue Death: ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, এবার দমদমে মৃত্যু পুলিশকর্মীর
Dumdum Dengue:বছর ৩৪-এর প্রীতম দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনিবাস রোডের বাসিন্দা।
সন্দীপ সরকার, দমদম: ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি। এবার মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপে প্রাণ গেল দমদম থানার এক পুলিশ কর্মীর। মৃত পুলিশকর্মীর নাম প্রীতম ভৌমিক। তিনি দক্ষিণ দমদম (South DumDum) পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পরিবারের দাবি, জ্বরে ভুগছিলেন পুলিশ কর্মী প্রীতম ভৌমিক। শুক্রবার নাগেরবাজারের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই গতকাল মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি হেমারেজিকের উল্লেখ রয়েছে। বছর ৩৪-এর প্রীতম দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনিবাস রোডের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বরে ভুগছিলেন অস্থায়ী পুলিশ কর্মী।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র ডেঙ্গি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। অসুস্থতার ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যে। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল দমদমের এক ডেঙ্গি আক্রান্ত কিশোরীর। বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি ছিল দমদম মতিঝিলের বাসিন্দা মধু সিংহ নামে ওই কিশোরী। প্রথমে দমদমের পুর হাসপাতাল, তারপর কলেজস্ট্রিটের একটি হাসপাতাল, তারপর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই মারা যায় বছর ষোলোর ওই কিশোরী।
চলতি মাসের প্রথম দিকে কলকাতার এক মহিলার মৃত্যু হয় ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমিত হয়ে। তিনি ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ আলিপুর সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কয়েকটি হাসপাতাল-নার্সিংহোম ঘুরে তাঁর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি, ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছে চন্দননগরের এক বছর একুশের তরুণের।
ম্যালেরিয়াতেও মৃত্যু:
ডেঙ্গি-উদ্বেগের মধ্যেই শহরে ম্য়ালেরিয়া (Malaria) সংক্রমণেও মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটল। মৃত রামবিদ্যা গুপ্ত লেকটাউন দক্ষিণ দাঁড়ির বাসিন্দা। ৭১ বছরের ওই ব্যক্তির জ্বর হয়েছিল। ৫ সেপ্টেম্বর ভর্তি করা হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সে আক্রান্ত ওই রোগীকে দেরিতে ভর্তি করা হয়। বয়স বেশি হওয়ায় অবস্থা সঙ্কটজনকই ছিল। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
প্লেটলেট নিয়েও সমস্যা:
ক্রিটিক্যাল ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য প্লেটলেট অত্যন্ত জরুরি জিনিস, সেটিই এখন পাওয়া যাচ্ছে না বহু সরকারি হাসপাতালে। এমনকী মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের ছবিটাও একইরকম। তবে শুধু মশাবাহিত রোগে আক্রান্তরাই নন, প্লেটলেটের আকালে সমস্যায় পড়েছেন অন্যান্য রোগীরাও। রক্তের মধ্যে শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকার সঙ্গে থাকে অনুচক্রিকা। যা, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। প্লেটলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে অতিরিক্ত সময় নেয়।
আরও পড়ুন: কোকেন রাখার অভিযোগে নিউ টাউন থেকে ৭ যুবককে গ্রেফতার বেঙ্গল এসটিএফের