Abdus Sattar : বাম আমলের মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারকে এবার মুখ্য উপদেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, 'তৃণমূল-মার্কসিস্ট কম্বো' কটাক্ষ শুভেন্দুর
ছিলেন হাত শিবিরে। সেখান থেকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হয়ে গেলেন বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার।
কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হলেন বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার। সম্প্রতি তিনি ছিলেন হাত শিবিরে। সেখান থেকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হয়ে গেলেন তিনি। আর সূত্রের খবর, তারপর তিনি কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন ।
বামফ্রন্ট সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এই নেতা। এবার তৃণমূল সরকার তাঁকে যে পদ দিল, তার পর্যাদা ও মন্ত্রীদের মতোই। জানা যাচ্ছে , এখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
আব্দুস সাত্তার রাজ্যের মন্ত্রীর সম মর্যাদাসম্পন্ন পদ পেলেন তৃণমূলের আমলা । তিনি প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। বাম আমলে আমডাঙা থেকে জিতে ছিলেন আব্দুস সাত্তার। পরে ২০১৮ সালে সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের হাত ধরে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও লড়েছিলেন। বাদুড়িয়া থেকে প্রার্থী হয়েও জিততে পারেনি সাত্তার। জিততে পারেনি যদিও। কংগ্রেসে তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতিও হন। সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুস সাত্তার।
সাত্তারকে এই পদ দেওয়ার পরে, শুভেন্দু অধিকারী করলেন কটাক্ষ পোস্ট । লেখেন, 'হিন্দু ভোট ভাগ করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পুরস্কার। আর জি কর-কাণ্ডে আন্দোলনকে বিপথে চালিত করার পুরস্কার। ইন্ডিয়া জোটের শরিক আব্দুস সাত্তারকে পুরস্কার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। TMC মানে তৃণমূল-মার্কসিস্ট কম্বো। '
জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনে সাত্তারকে কিছুদিন আগেই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। কিন্তু তিনি অপারগতা দেখিয়ে সেই দায়িত্ব নেননি বলে সূত্রের খবর ।
কংগ্রেস নেতা সুমন রায়চৌধুরী লিখেছেন, 'ক্ষমতার বাইরে থাকার শক্তি সবার থাকে না । হুমকি, ধমক, থ্রেট কল, মিথ্যা মামলা এই বাংলার দিদি আমাদের প্রতি নিয়ত উপহার দেন। আব্দুস সাত্তার সাহেব কংগ্রেস ছাড়লেন , আমি সত্যি ভাবতে পারিনি উনি হার মেনে নেবেন , যাক ওখানেই থাকুন এবং স্বাভাবিক ভাবে (অ)সন্মানের সাথেই থাকুন । এটাও জানবেন এতে আমার দলের কোন ক্ষতি হলো না । জাতীয় কংগ্রেস একটা সমুদ্র, এর থেকে এক মগ জল কেউ তুলে নিলে , সমুদ্র শুকিয়ে যায়না।'
আরও পড়ুন, পুজো কাটতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, সুরক্ষিত থাকতে কী করতে হবে ? জানালেন চিকিৎসক