Alipurduar Student Murder: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে
এ দিন সকালেও বাড়িতে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিলে, তা প্রত্যাখ্যান করে মেয়েটি করায় এদিন সকালে ওই কিশোরীকে খুন করে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ফালাকাটায় (Falakata) দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গলা কেটে খুনের (Murder) অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল ওই যুবক। এ দিন সকালেও বাড়িতে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিলে, তা প্রত্যাখ্যান করে মেয়েটি করায় এদিন সকালে ওই কিশোরীকে খুন করে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ (Falakata Police Station)।
সম্প্রতি কোচবিহারের (Coochbihar) গুঞ্জবাড়িতে একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল কলেজ শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের দেহ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মিলেছে ১২ পাতার সুইসাইড নোট (Suicide Note)। তাতে লেখা হয়েছে, কীভাবে স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজেকে শেষ করেছেন তিনি। যদিও কী কারণে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীত কুমার বলেন, "১২ পাতার সুইসাইড নোট মিলেছে। সুইসাইড নোটে প্রথমে স্ত্রী পুত্রকে খুন করার কথা লেখা হয়েছে। তারপরে নিজে কীভাবে বারবার মরার চেষ্টা করেছেন, তা লিখেছেন। প্রাথমিক অনুমান খুন করে আত্মহত্যা। পরিবার খুনের অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।"
ঠিক কী ঘটেছে? কোচবিহারের গোসানিমারির বাসিন্দা উৎপল বর্মন। পেশায় ছিলেন, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজের বাংলার শিক্ষক। কামেশ্বরী রোডে এই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী অঞ্জনা ও একমাত্র ছেলে অদ্রীশকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার ভাড়াবাড়ি থেকেই তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত পরিবারের ভাড়া বাড়ির মালিক ডলি দাস বলেন, " বাড়ির লোক এসে বলল মিসিং। আমরা জানতাম বাড়িতে গিয়েছে। কোনও অশান্তি কিছু ছিল না। সেরকম কিছু শুনিওনি। কাল ওঁদের বাড়ির লোক এসেছিল খোঁজ করে গিয়েছে। আজও আসে। তালা ভাঙতেই সামনে আসে।"
একই সঙ্গে খোয়া যাওয়া সোনার গহনা মিমাংসা করতে গিয়ে ছোট ছেলের হাতে খুন হন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মল্লারপুর থানার হাজিপুর গ্রামে। মৃত বাবার নাম সাবির আলি (৫০)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাজিপুরে বাসিন্দা সাবির আলি পেশায় শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী সিকিউরিটি গার্ড। তাঁর তিন ছেলে বড় ছেলে থাকেন গুজরাটে। ছোট ছেলে ও মেজো ছেলে দুই জন বাড়িতে থাকে। কিছু দিন আগে মেজো ছেলের একটা সোনার বেসলেট হারিয়ে যায়। এই নিয়ে দুই ভায়ের মধ্যে প্রায় অশান্তি।
সন্ধ্যেয় বাবা সাবির শান্তিনিকেতন থেকে বাড়ি আসে মিমাংসা করার জন্য। রাত্রে দিকে দুই ভাইকে নিয়ে মিমাংসা করার জন্য বসে। মিমাংসা চলাকালীন ছোট ছেলে সাহাউদ্দিন আলী হাঠাৎ করে মেজো ভাই আবুতালিম আলী কে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে আঘাত করে। তখন বাবা তাদের আটকাতে গেলে ছোট ছেলে তার বাবার বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে মল্লারপুর থানার পুলিশ।