Raj Bhavan: প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট চাই, ফের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি রাজভবনের
State University: ফের কি নতুন করে সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার ও রাজভবন?চিঠি ঘিরেই ফের রাজ্য সরকার ও রাজভনের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংঘাতের আবহ।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সমীরণ পাল, কলকাতা: প্রতি সপ্তাহের শেষে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল রাজভবন। সপ্তাহান্তে রিপোর্ট চেয়ে গত মাসেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে। কিন্তু সেই রিপোর্ট পাঠায়নি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ফলে ফের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো হল রাজভবনের তরফে। এই নিয়েই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত।
ফের কি নতুন করে সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার ও রাজভবন? রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরকে দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, আচার্যের নির্দেশমতো, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে যে রিপোর্ট পাঠানোর কথা ছিল, সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। আর এই চিঠি ঘিরেই ফের রাজ্য সরকার ও রাজভনের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংঘাতের আবহ।
এই নিয়ে নতুন করে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, 'সবাই ভাবুক এটা আইনি কিনা। আমাদের তো না জানিয়ে করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব কী করণীয়।'
সরকারি সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিলের নির্দেশের পর, রাজ্যের ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহরের একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্ট দিচ্ছে না। এর আগেও রাজভবনের একাধিক নির্দেশিকা ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছিল রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে নবান্নের সঙ্গে শুরু হয়েছিল সংঘাত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন অথবা ইমেল মারফৎ কথা বলতে পারবেন।
তখন থেকেই এই নির্দেশিকা ঘিরে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এরা কোনও নিয়ম মানে না। নিজের পথেই চলে। এটাই এদের কাছে প্রত্যাশিত।'
প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধে জড়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু, রাজ্যপাল পদে সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণের পর পরিস্থিতি অন্যরকম হবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। তবে, সময় গড়াতে বদলে গেল গোটা ছবি।
আরও পড়ুন: নীল, কমলা না কি সাদা? কোন পাসপোর্ট আপনার? কেন এত ভাগ?






















