Passports in India: নীল, কমলা না কি সাদা? কোন পাসপোর্ট আপনার? কেন এত ভাগ?
Indian Passport: কে কোন পাসপোর্ট পাবেন? নির্ভর করে কীসের উপর?
কলকাতা: কেউ যান ঘোরার জন্য, কেই যান কাজে আবার কেউ যান পড়াশোনা বা গবেষণা করতে। বিদেশ যাওয়া বা বিদেশ যেতে চাওয়া ভারতীয়ের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু বিদেশ যেতে চাইলে সবার আগে যেটা হাতে থাকা প্রয়োজন তা হল পাসপোর্ট। এই নথি না থাকলে বিদেশ যাওয়াই সম্ভব নয়। তার সঙ্গেই ভিসা-সহ আরও একাধিক শর্ত মানতে হবে, তবেই মিলবে অনুমতি। প্রথমেই যেহেতু পাসপোর্ট প্রয়োজন, তাই আগে সেদিকেই নজর দেওয়া যাক।
আমাদের অনেকেরই পাসপোর্ট রয়েছে, সাধারণত যা দেখা যায় তা হল গাঢ় নীল রংয়ের বইয়ের মতো দেখতে একটি নথি। কিন্তু এটিই কিন্তু একমাত্র পাসপোর্ট নয়। ভারত সরকারের তরফে ফিজিক্যাল পাসপোর্ট হিসেবে অন্তত ৪ রকমের পাসপোর্ট দেওয়া হয়। বিভিন্ন শর্ত এবং কার পাসপোর্ট তার উপর ভিত্তি করে এই পাসপোর্টের রং নির্ভর করে। দেখে নেওয়া যাক ভারতে কত রকমের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
সাধারণ পাসপোর্ট:
এই পাসপোর্টই সাধারণ নাগরিকদের হাতে দেখা যায়। গাঢ় নীল রঙের এই পাসপোর্ট Blue Personal Passport বলেও পরিচিত। ঘোরা, পড়াশোনা, কাজ, চিকিৎসা-সবের জন্যই বিদেশে গেলে আমজনতার এই পাসপোর্ট হাতে থাকা প্রয়োজন। অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তাড়াতাড়ি প্রয়োজন হলে তৎকাল পরিষেবায় এই পাসপোর্ট বানানো যায়, তবে অতিরিক্ত টাকা লাগে।
সাদা পাসপোর্ট:
এটি ভারতের অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট। উচ্চপদস্থ সরকারি আমলারা এই পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। সরকারের কাজে বিদেশে গেলে এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে তাঁদের। মাইগ্রেশনের সময় যাতে সুবিধা হয় এবং যাতে বোঝা যায় ওই ব্যক্তি ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন তার জন্যই এমন পাসপোর্ট।
কমলা পাসপোর্ট:
২০১৮ সাল থেকে এই পাসপোর্ট (Passport) ইস্যু করা শুরু হয়েছে। সেই সমস্ত ভারতীয় নাগরিক যাঁরা ততটা প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হননি, বিদেশে কাজের জন্য যাচ্ছেন তাঁদের জন্য এই পাসপোর্ট আনা হয়েছে। অন্য পাসপোর্টের মতো এর একদম শেষের পাতায় আলাদ করে সব তথ্য থাকে না। এই পাসপোর্ট যাঁদের রয়েছে তাঁরা ECR (emigration check required) তালিকায় পড়েন।
মেরুন পাসপোর্ট:
এই রঙের পাসপোর্ট আদতে কূটনৈতিক পাসপোর্ট। ভারতীয় কূটনৈতিক, সংসদের সদস্য, মন্ত্রী, শীর্ষস্তরের সরকারি আমলা, রাজ্যস্তরের শীর্ষস্থানীয় আমলা এই পাসপোর্ট পান। তবে এই ধরনের পাসপোর্ট এখন ই-পাসপোর্ট হিসেবেই ইস্যু হয়।
এছাড়াও রয়েছ ই-পাসপোর্ট। এটি ফিজিক্যাল পাসপোর্ট নয়। শীঘ্রই এই সুবিধা আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে একটি যাতে ওই ব্যক্তির তথ্য থাকবে। সহজেই ইমিগ্রেশনের কাজ হবে। জাল করাও কঠিন হবে।
আরও পড়ুন: আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?