Alipurduar News: সপ্তাহে একদিন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা, পর্যটকদের জন্য জারি নয়া নিয়ম
Buxa Tiger Reserve: এনটিসিএ বা ন্যাশনাল টাইগার কনসার্ভেশন অথরিটির অন্তর্ভুক্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পও এবার থেকে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যটকদের জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি। আগামী মাস থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশ।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা: এনটিসিএ বা ন্যাশনাল টাইগার কনসার্ভেশন অথরিটির অন্তর্ভুক্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পও এবার থেকে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান, বিটিআর এর ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন। উপস্থিত ছিলেন বিটিআর পশ্চিমের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পারভিন কাসওয়ান।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বহু পর্যটক আসেন জয়ন্তি, বক্সা পাহাড়সহ বিভিন্ন এলাকায়। হোম-স্টেতে থাকার পাশাপাশি পর্যটকরা কার-সাফারিও করেন ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে। সপ্তাহের একটা দিন জঙ্গলের শান্ত পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা সহ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে বলে জানান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন। জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গত ৫ দিনে বীরভূম জেলার বল্লভপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে আনা দুই ধাপে প্রায় ১৯০টি চিতল প্রজাতির হরিণ আনা হয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে ৭০০ হরিণ বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে দাবি পারভিন কাসওয়ানের।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে হাতির হানায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় বাঁকুড়ায়। গতকাল রাতে বাঁকুড়ার বেলবনি বিটের মাতলা গ্রামে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তিনটি হাতি। হাতির হানায় গ্রামের চারটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রায় ১০ থেকে ১২ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে হাতিগুলি। বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া উত্তর ও সোনামুখী রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গল মিলিয়ে ৬৮ থেকে ৭০ টি হাতি রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি হাতি ঢুকে পড়ে বাঁকুড়া উত্তর রেঞ্জের অন্তর্গত মাতলা গ্রামে। গ্রামে ঢুকে একের পর এক বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। দরজা ও দেওয়াল ভেঙে বাড়ির মধ্যে ধান নষ্ট হাতিগুলি। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় হাতির হানায় চারটি বাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পরে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে গ্রাম ছাড়লেও লাগোয়া আলুর জমি তছনছ করে দেয় হাতিগুলি। স্থানীয়দের দাবি এক রাতেই তিনটি হাতির হানায় প্রায় ১০ থেকে ১২ বিঘে জমিতে আলু নষ্ট হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রামে হাতির হানার খবর বারবার বন দফতরে দেওয়া হলেও বন দফতরের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রামাবাসীরা দাবি জানায়, ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি দূরের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক বন দফতর।
আরও পড়ুন: Bayron Biswas: কাটল জট, কাল দুপুরে বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের শপথ