Bankura News: বজ্রপাতে মর্মান্তিক পরিণতি, পুকুরে স্নান করতে মৃত দুই
Lightning Death: বুধবার সকাল থেকেই বাঁকুড়ার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দুপুরের পর বাঁকুড়ায় আচমকাই প্রবল বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়।

পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাজ পড়ে বাঁকুড়ায় (Bankura Lightning Death) মৃত্যু হল ২ জনের। মৃতদের নাম সোনু লোহার ও অভি বাগদী। দুজনেরই বাড়ি বাঁকুড়া সদর থানার সানাবাঁধ গ্রামে। ঘটনায় শোকের ছায়া।
বাজ পড়ে মৃত্যু: গত কয়েকদিনে ধরেই দুর্যোগের মেঘ আকাশে। বুধবার সকাল থেকেই বাঁকুড়ার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দুপুরের পর বাঁকুড়ায় আচমকাই প্রবল বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মাঝেই স্থানীয় একটি পুকুরে স্নান করতে যান সানাবাঁধ গ্রামের সোনু লোহার ( ১৯) এবং ওই গ্রামেরই অভি বাগদী ( ১৩)। আচমকাই বজ্রপাতে দুজনেই ছিটকে পড়ে মাটিতে। স্থানীয়রা দ্রুত দুজনকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে যান। তবে শেষরক্ষা হয়নি চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ বৃহস্পতিবার দেহ দুটির ময়না তদন্ত করা হবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
গতমাসে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। গত ১৭ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে ইংলিশ বাজার ব্লকের মহদীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একে গোপালন কলোনি এলাকায়। জানা যায় মৃত শ্রমিকের নাম কৃষ্ণ দাস। বয়স ২৩ বছর। বাড়ি ওই এলাকাতেই। ঘটনার দিন সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মালদা মহদিপুর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথের ধারে পাথর বোঝায় লরি লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ করছিলেন ওই শ্রমিক। ঠিক সেই সময় হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। পাথর বোঝায় একটি লরির নিচে আশ্রয় নেন ওই শ্রমিক। ঠিক সেই সময় হঠাৎ বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর, বলে পরিবারের দাবি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার ঠিক একদিন আগে বজ্রপাতে মর্মান্তিক পরিণতি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি থানা এলাকার এক বাসিন্দার। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও এক মহিলাকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি থানার ২৩ নম্বর লাট এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃত জয়ন্ত মণ্ডল (৩৯) স্থানীয় বাড়ি ভাঙা আবাদ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার দিন দুপুরে জমিতে ধান তোলার সময় আচমকা ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির মধ্যেই বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন জয়ন্ত ও তাঁর আত্মীয়। সকলেই অচৈতন্য অবস্থায় মাঠে পড়েছিল। দীর্ঘক্ষণ পর স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাঁদেরকে উদ্ধার করে রায়দিঘি হাসপাতালে নিয়ে এলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।






















