Birbhum: বিস্ফোরণের পরে তীব্র আতঙ্ক, বাচ্চাদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারা
Birbhum Bomb Blast: লাগাতার অভিযানে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বোমাও। তারমধ্যেই আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন বহু বাসিন্দা।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, দীপক ঘোষ ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা ও বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রক্তাক্ত বীরভূম। সম্প্রতি সাঁইথিয়ায় বোমাবাজির ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর হাত-পা উড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আরও একজন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আর এক নাবালক। তারপরই চলেছে ধরপাকড়। একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাগাতার অভিযানে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বোমাও। তারমধ্যেই আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন বহু বাসিন্দা।
বারবার সংঘর্ষ:
এখনও বেশ কিছুদিন বাকি পঞ্চায়েত ভোটের। কিন্তু তার আগেই হুমকি-হুঁশিয়ারির যুদ্ধ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই রক্ত ঝরার ঘটনাও ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভেসে গিয়েছে লাল মাটির জেলা। কদিন আগেই বীরভূমের সাঁইথিয়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে বিস্ফোরণে হাত-পা উড়ে গিয়েছে এক ব্যক্তির। সর্বাঙ্গে স্প্লিন্টারের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ১ নাবালক। এমন ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। সাঁইথিয়ার বহড়াপুরের এক বাসিন্দা বলেন, 'গ্রামের অবস্থা খারাপ। খুব ভয়ে আছি। সারারাত ঘুম নেই। যাঁদের ইয়ে তাঁদের ধরছে না। যাঁদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ধরছে।'
ওই গ্রামে এখন যেন বারুদের স্তূপ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৫টি মতো তাজা বোমা। বম্ব ডিজপোজ়াল স্কোয়াড বোমা উদ্ধার করে ফাটিয়ে দেয়।
নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব:
আর এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি বলেন, 'অনুব্রত না থাকায়, জনৈক নেতা এই ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে। অনেকে ভেবে নিয়েছে, আমিও অনুব্রত। তৃণমূলর একদল গ্রাম দখলের লড়াই করছে। ২-১ টা নেতা ভাবছে, অনুব্রত নেই। এখন আমিই অনুব্রত। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। উচ্চস্তরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।' বিরোধীরা অভিযোগ করছে, বীরভূম মানেই তো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বধ্যভূমি। যেখানে বিরোধীরা মাথা তোলার চেষ্টা করছে, সেখানে পেশিশক্তি দিয়ে তাদের কাবু করা হচ্ছে। কোনও এলাকায় আবার ক্ষমতার দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যেই মারপিট করছে তৃণমূল।
শাসকদলের দাবি:
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে। কোনও অপরাধীই ছাড় পাবে না।'
বিস্ফোরণের পর থমথমে, শুনশান গোটা গ্রাম। বোমার আঘাত এসে লেগেছে নাবালকের গায়েও। আর সেই কারণেই অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারা।
আরও পড়ুন: মালদায় ডেঙ্গির থাবা কাড়ল প্রাণ, মৃত্যু এক কিশোরের






















