Anubrata Mondal Arrested: গরুপাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল
গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল
বীরভূম: গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে। গরুপাচার মামলায় তত্পর সিবিআই। গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর পেয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বোলপুরের বাড়ির সামনে ভিড় জমান এলাকাবাসীরা। বলেন, দাদার জন্য খারাপ লাগছে। এরপরেই সময় যত গড়ায় জল্পনা বাড়তে থাকে তবে কি আজই গ্রেফতার হতে চলেছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসক-নেতা? সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে বলে সূত্রের খবর। আর এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
জেলা সভাপতি থেকে জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য, তৃণমূলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার কী করবে দল? পাশে থাকবে নাকি দূরত্ব তৈরি করবে দল? স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অন্যদিকে গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়ায় তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।
এ দিন পৌঁছে যায় ১০-১২টি গাড়ির কনভয়। অনুব্রতর বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। একটি দল বাড়ির দোতলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অন্য একটি দল অনুব্রতর বাড়ির একতলায় অফিসে নথিপত্র পরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে। এর আগে গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত।