(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Birbhum: বালি তুলতে বাধা, হুমকি-মারধরের নালিশ, কাঠগড়ায় ব্যবসায়ী
Birbhum News: প্রতিবাদ করায় সালিশি সভা ডেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যদিও হুমকি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
নান্টু পাল, বীরভূম: ফের বালিপাাচার নিয়ে অভিযোগ। এবার বীরভূম। বীরভূমের নলহাটিতে বলরামপুর গ্রামের বেআইনিভাবে বালি পাচারে বাধা দেওয়ায় হুমকির নালিশ। অভিযোগের তির তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিবাদ করায় সালিশি সভা ডেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। যদিও হুমকি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
কী অভিযোগ:
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ব্রাহ্মণী নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী রবীন অধিকারী। তিনি নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর আত্মীয়। বালি তোলায় বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ভাইরাল অডিও ক্লিপ সামনে এনেছেন গ্রামবাসীরা। যদিও ওই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
কী শোনা যাচ্ছে সেখানে:
'বালি তুলতে পারি কিনা দেখব। গ্রামকে বোলো রেডি থাকতে। এক একশো যদি পড়ে যায় তাহলে কেউ থাকবে না। তোমাকে চ্যালেঞ্জ করলাম কাল আমি বালি তুলব।...গাড়ি আটকালে গ্রামের কাউকে ছাড়ব না।' অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ অডিও ক্লিপে যাকে হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছে, তিনি বালি ব্যবসায়ী রবীন অধিকারী। বলরামপুর, নলহাটির বাসিন্দা সর্বেশ্বর লেট বলেন, 'রবীন অধিকারী ব্রহ্মাণী নদী থেকে বালি তুলছে। গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বালি তোলা বন্ধ করে রাস্তা ঘিরে দেওয়ায় ফোনে হুমকি দেয়।'
অভিযোগ অস্বীকার:
অভিযুক্ত বালি ব্যবসায়ী ও তৃণমূল নেতার আত্মীয় রবীন অধিকারী বলেন, 'কাউকে হুমকি দিইনি। গ্রামে জলের পাম্প, রাস্তা করে দিয়েছি। গ্রামবাসীদের ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তার বিনিময়ে বালি তুলেছি।'
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধু হুমকি দেওয়াই নয়, রীতিমতো সালিশি সভা বসিয়ে মারধর করা হয় এক গ্রামবাসীকে। মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ব্লক সভাপতির ছেলের। পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বলরামপুর, নলহাটির বাসিন্দা মানিক লেট বলেন, 'সালিশি সভায় তৃণমূল নেতার ছেলে মারধর করে। পুলিশের সামনে মারধর।'
নলহাটি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারী বলেন, 'রবীন অধিকারী আমার জ্যাঠার ছেলে। সব জানার পর আলোচনায় বসি। দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীর ব্যাপার। মারধর হয়নি।'
যদিও গোটা বিষয়ে তৃণমূলকেই নিশানা করেছে বিজেপি। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, 'রক্ষকই ভক্ষক। তৃণমূল নেতার ভাই বালি তুলছে। বাংলায় আইনের শাসন নয় শাসকের আইন।' নলহাটির শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শিবানী মাল বলেন, 'আমাকে কেউ জানায়নি।' তদন্ত করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খাবারে ডিম নেই কেন ? আচমকাই আসানসোলের স্কুলে অগ্নিমিত্রা