Rampurhat Fire: 'আনারুলকে গ্রেফতার করুন, কোনও অজুহাত চলবে না, সকলকে ধরতে হবে', রামপুরে পা রেখেই নির্দেশ মমতার
সোমবার রাতে প্রথম খুন হন তৃণমূলের উপ পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার পরই সতর্কতা জারি হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।
রামপুরহাট: জতুগৃহে পা রেখেই তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তিনি জানালেন, আগুন ধরার পরই আনারুলকে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার পরেও পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেননি আনারুল। তাই তাকে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। কেন পুলিশ পাঠায়নি সময়মতো, তা দেখতে হবে বলে জানান। মমতার কথায়, সময় মতো পুলিশ পাঠানো গেলে এই ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো বলেও দাবি করেন মমতা।
আনারুলের সমালোচনায় মমতা বলেন, "আনিরুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। তাঁকে কমপ্লেন করেছিল ওরা। কিন্তু পুলিশ পাঠায়নি। কিন্তু সময় মতো পুলিশকে পাঠায়নি। ওকে অ্যারেস্ট করা হবে। তার কারণ হচ্ছে, অ্যারেস্ট করে কেন পুলিশ পাঠায়নি, সময় মতো? পাঠালে ঘটনাটি নাও ঘটতে পারত। এটা দেখতে হবে। "
এসডিপও এবং পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা
একই সঙ্গে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ের এসডিপিও-র ভূমিকার সমালোচনা করেন মমতা। সোমবার রাতে প্রথম খুন হন তৃণমূলের উপ পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার পরই সতর্কতা জারি হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। মতা জানিয়েছেন, বগটুইয়ে আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও একটি খুনের ঘটনা ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও আইসি, এসডিপিও, ডিআইবি, নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি। পরিস্থিতি জেনেও পুলিশকে কাজে লাগানো হয়নি। সকলের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানান মমতা। এমন ভাবে মামলা সাজাতে হবে, যাতে কয়েক বছরের মধ্যে জামিন মঞ্জুর না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে ববলে জানিয়ে দেন মমতা।
আরও পড়ুন: Rampurhat Case: "নিহতদের পরিজনদের নিরাপত্তা দিতে হবে,'' বগটুইয়ের ঘটনায় ঘোষণা মমতার
বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাট পৌঁছন মমতা। প্রথমে সার্কিট হাউস যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু সেখানে না গিয়ে, সরাসরি বগটুইয়ে হাজির হন তিনি। সেখানে বলেন, "প্রথমেই বলি, এই ঘটনা ভীষণ ভয়াবহ। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। পরশু সকালে যখন প্রথম শুনি, সঙ্গে সঙ্গে ববিকে বলি, তুই ইমিডিয়েটলি যা। কেষ্টকেও পাঠাই। আমি ভাবতে পারিনি এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আধুনিক যুগে রয়েছি, তা-ও সারা বিশ্বে যুদ্ধ হচ্ছে। এখানেও অশান্তির আগুনষ শুধু কয়েকটি লোকের জন্য।"
রাজ্য জুড়ে তল্লাশি, অস্তর-বোমা উদ্ধারের নির্দেশ মমতার
মমতা সাফ জানিয়েছেন, দরকার হলে গোটা বাংলা জুড়ে তল্লাশি চালাতে হবে। যেখানে যত অস্তর মজুত রয়েছে, হামলার সামগ্রী মজুত রয়েছে, সব উদ্ধার করতে হবে। পুলিশ হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে, কয়েক জনের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর বদনাম হবে, তা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান মমতা। তাঁর সাফ কথা, "এমন আচরণ থাকলে পুলিশের চাকরি না করাই ভাল।" গোটা এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানোর নির্দেশও দেন মমতা। সোমবারের পর থেকেই এলাকা ছেড়েছেন বহু মানুষ। মমতার নির্দেশ, গ্রামের মানুষকে পুলিশি নিরাপত্তা গ্রামে ফিরিয়ে আনতে হবে, বাড়ির ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাঁরা যাতে বসম্পূর্ণ নিরাপত্তা পান, সেই দায়িত্বও পুলিশের।