Birbhum News: পুশব্যাকের পর 'অনুপ্রবেশকারী' বলে সন্দেহ, বাংলাদেশের পুলিশের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের ৬ বাসিন্দা !
6 Birbhum Resident Arrested by Bangladesh Police : বাংলাদেশের পুলিশের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের ৬ বাসিন্দা ! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আর্জি ভুক্তভোগীর পরিবারের

বীরভূম: সীমান্তের দুই পাড়ে টানাপোড়েনের শিকার বীরভূমের ৬ বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, বাংলাদেশি সন্দেহে পুশব্যাকের পর এবার অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে তাঁদের গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করে ফিরিয়ে আনুক এদেশে, দাবি করছে ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার।
আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ! দুর্যোগ থেকে মুক্তি কবে ?
বাংলাদেশ পুশব্যাক করা সোনালি বিবির মা জ্যোৎস্নারা বিবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোড়হাত করে বলছি, আপনারা মেয়েকে এখানে এনে দিন, আর কিচ্ছু চাই না।' বাংলাদেশ পুশব্যাক করা সোনালি বিবির বাবা ভুদু শেখ বলেন, এখানকার রেশন কার্ড ছিল আমার মেয়ের। আমার তো সাতপুরুষ এখানেই আছি। আমরা তো বাংলাদেশি নই। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশেই তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ! আর তার জেরেই বীরভূমের পাইকরের দুই পরিবারের পরিচয় এখন শুধুই 'অনুপ্রবেশকারী'!সীমান্তের দুই পাড়ে টানাপোড়েনের শিকার বীরভূমের ৬ বাসিন্দা। এখন তাঁরা কার্যত 'দেশহীন'। আর তাঁদের ঘরের ফেরার পথের দিকে চেয়ে চোখের জলে দিন গুনছেন তাঁদের বাবা-মা।
পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ি বীরভূমের পাইকরে হলেও, কাজের সূত্রে স্বামী দানিশ শেখের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে দিল্লির রোহিণীর ২৬ নম্বর সেক্টরে থাকতেন সোনালি বিবি। অভিযোগ, গত ১৭ জুন তাদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তারপর ২৬ তারিখে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে বীরভূমেরই বাসিন্দা সুইটি বিবি এবং তার দুই ছেলেকেও রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ।অভিযোগ, সেদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে পাল্টা তাঁদের গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
সোনালি বিবির মা জ্যোৎস্নারা বিবি বলেন, দিল্লি থেকে নিয়েছে, পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলা কথা বলেছে তাই। আমার মেয়ের খালি আধার কার্ড আছে। এখানকার।কাল শুনলাম বাংলাদেশে গ্রেফতার করেছে। সোনালি বিবির বাবার দাবি, ভারতীয় পরিচয়পত্র থাকলেও তাঁদের মেয়ে-জামাই ও নাতিকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছেন তাঁরা। সোনালি বিবির বাবা ভুদু শেখ বলেন, 'এখানকার রেশন কার্ড ছিল আমার মেয়ের। আমার তো সাতপুরুষ এখানেই আছি। আমরা তো বাংলাদেশি নই। ধরে নিয়ে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দিয়েছে, আমরা জানিই না। আমরা ভারতের নাগরিক। ওকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক।'
সূত্রের খবর, একই পরিণতি হয়েছে অসম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা আরেক পরিযায়ী শ্রমিক সুইটি বিবি ও তাঁর দুই নাবালক সন্তানেরও।তাঁদেরও বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেফতার করে বলে দাবি পরিবার সূত্রে। কিন্তু আদৌ কবে ঘরে ফিরতে পারবে সোনালিরা? কীভাবে? সেই দুশ্চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে পরিবারের।






















