Falharini Kali Puja 2023: ফলহারিণী কালীপুজো সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে তারাপীঠে
Falharini Kali Puja 2023 at Tarapith: প্রতি বছরের মতো এবারও সাড়ম্বরে ফলহারিণী কালীপুজো পালিত হচ্ছে তারাপীঠে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: প্রতি বছরের মতো এবারও সাড়ম্বরে ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja 2023) পালিত হচ্ছে তারাপীঠে। জ্যৈষ্ঠমাসের অমাবস্যা তিথি যা ফলহারিণী অমাবস্যা নামেও খ্যাত। এই দিনেই পূজিত হন আদিশক্তি।
ফলহারিণী কালীপুজো সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে তারাপীঠে
এই অমাবস্যায় মা তারাকে ফলের ভোগ নিবেদন করলে ইচ্ছেপূরণ হয় বলে বিশ্বাস। তাই ফল দিয়ে তারাকে পুজো করেন ভক্তরা। ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে তারা মায়ের নিশিরাতে পুজো ও আরতি হয়। রাতে মাকে ফুল এবং ফলের মালা দিয়ে রাজবেশে সাজানো হয়। যে ফল বিগ্রহকে নিবেদন করা হয়, সেই ফল খাওয়া যায় না। ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে আরতি হয় তিনবার। মা তারাকে দু'বার ভোগ নিবেদন করা হয়। রাতে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের ভাজা, খিচুড়ি, পাঁঠার মাংসের ভোগ। এই তিথিতে দেবীর আরাধনায় অশুভ কর্মফল নাশ হয় এবং শুভ ফলপ্রাপ্তি হয়।
ভক্তের চোখে তিনি সদা বিরাজমান
অন্যান্য অমাবস্যাগুলির মতো এই তিথিরও বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। কথিত আছে এইদিন স্বয়ং দেবী ভক্তের ইচ্ছেপূরণ করার জন্য পূথিবীর বুকে অবতীর্ণ হন। যদিও ভক্তের চোখে তিনি সদা বিরাজমান। তাঁর প্রকাশ সর্বত্রই। তবু ফলহারিণী অমাবস্যায় বিশেষ কিছু নিয়ম পালনের নিয়ম রয়েছে।
বলা হয়, এই দিন পরমহংস রামকৃষ্ণ দেব, স্ত্রী সারদাদেবীকে ষোড়শী রূপে পুজো করেছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশনে এই ফলহারিণী কালীপুজো ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
ফলহারিণী কালীপুজো পালিত হচ্ছে বেলুড় মঠেও
আজ ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja 2023) । প্রতিবছর এই দিনটি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালিত হয় রামকৃষ্ণ মিশনের সমস্ত কেন্দ্রে। বেলুড় মঠেও আজ একইভাবে সেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এই বিশেষ দিনটি দক্ষিণেশ্বর তো বটেই, বেলুড় মঠের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আর এই বিশেষ দিনে বেলুড়মঠে ঠাকুরের গর্ভগৃহে ঠাকুরের বাম পার্শ্বে মায়ের প্রতিকৃতি রেখে তাঁকে পুজো করা হয়। অমাবস্যা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পুজো। সারারাত ধরে নিশি পুজো চলে ভোর পর্যন্ত। মঠের সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা পুজো করেন। দেবীর বন্দনা করেন ভক্তিগীতি এবং গান দ্বারা মাকে আহ্বান করেন এবং পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণ করেন।