Durga Puja Donation: হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্যের, শর্তসাপেক্ষে ৪৩ হাজার পুজোকে অনুদানে সায়
Durga Puja 2022: নির্দেশে জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ৬টি শর্তে পুজো অনুদানে অনুমতি হাইকোর্টের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পুজো অনুদান মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) স্বস্তি রাজ্য সরকারের। শর্তসাপেক্ষে পুজো অনুদানে সায় আদালতের (Durga Puja Donation)। রাজ্যের সিদ্ধান্তে সিলমোহর হাইকোর্টের। প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দিতে পারবে রাজ্য। নির্দেশে জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ৬টি শর্তে পুজো অনুদানে অনুমতি হাইকোর্টের।
দুর্গাপুজোর অনুদানে সায় কলকাতা হাইকোর্টের
মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ছয়টি শর্তে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার রাজ্যের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করছেন তিনি। কিন্তু সেই ছয়টি শর্ত কী, এখনও তা স্পষ্ট করে জানায়নি আদালত। সবেমাত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আদালতের ওয়েবসাইটে নির্দেশনামার কপি আপলোড করা হবে। সেখানে শর্তগুলির উল্লেখ থাকবে।
এর আগেও দুর্গাপুজোয় অনুদানের বিষয়টি আদালতে পৌঁছলে, সে বারও শর্তসাপেক্ষে অনুদানে সায় দেয় আদালত। এ বারও অনুদানের প্রশ্নে রাজ্যের ঘোষণাও মান্য়তা পেল। এ বার কোন কোন শর্ত রাখা হয়েছে, তা আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানা যাবে।
সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা না মিটিয়ে অনুদান কেন, এই প্রশ্নে মামলা হয়
বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে এ বছরই। আর এ বছরই পুজো কমিটিগুলির অনুদান ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা ঘোষণা করে রাজ্য। রাজ্যের প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটি এই অনুদান পাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পুজোর এই অনুদানের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে ২৫৮ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত খরিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীরা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে আদলতের নির্দেশমতো সরকারি কর্মীদের DA দেওয়া হয়নি, সেখানে কেন পুজোয় এইভাবে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত! কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। তাতে মঙ্গলবার রাজ্যের সিদ্ধান্তই অনুমোদন পেল।
শুনানি চলাকালীন, এর আগে আদালতে রাজ্য জানায়, অনুদানের টাকা মূলত তিনটি কাজে ব্যবহার করা হবে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য, রাজ্যের পর্যটনের প্রচারের জন্য এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য।