Calcutta High Court: কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় আদালতে জমা হার্ড ডিস্ক ও রেজিস্টার
Kuntal Ghosh Letter:৩ টি হার্ড ডিস্ক ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার জমা দেওয়া হল আদালতে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। জেলের সুপারের পক্ষ থেকে ৩ টি হার্ড ডিস্ক ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার জমা দেওয়া হল আদালতে। সব নথি সিল কভারে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আদালতের নির্দেশ ছিল সংশোধনাগারের সিসি টিভি ফুটেজ ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার জমা করতে হবে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর।
আগেও অভিযোগ:
কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সম্প্রতি আদালতে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক মন্তব্য করে কুন্তল ঘোষ বলেছিলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলা মানে আমাদের বুক চওড়া হওয়া। দলের নেতাদের নাম বলতে বলপূর্বক চাপ দিচ্ছে এজেন্সি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম বলানোর চেষ্টা হচ্ছে', বিস্ফোরক দাবি করেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এরপর অভিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার (Central Agency) বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় ও আলিপুর আদালতে (Police Station and Court) কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) অভিযোগপত্র। 'কুন্তল ঘোষের অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত ও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না', কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ জানিয়েছিল আদালত। হেস্টিংস থানার অভিযোগ পত্র আদালতে পেশ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যখন একদিকে এই ঘটনা। তখন অন্য দিকে কুন্তল ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, '১০০ নয়, ৫০০ কোটির খেলা, কুন্তল একাই ৫০০ কোটি তুলেছে। অভিষেকের (বন্দ্যোপাধ্যায়) নাম ভাঙিয়ে টাকা তুলেছে। 'হাওয়ালার মাধ্যমে ও টাকা বাইরে পাঠিয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও চাপ দেয়নি। লক আপ থেকে আদালতে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mandal)।
শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা:
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে তলব ইডির। অয়নের ছেলে অভিষেক শীল, স্ত্রী কাকলি শীলকেও তলব ইডির। আগামী সপ্তাহে ৩ জনকে তলব ইডির। শুধু ২০১৪-এর টেট নয় ২০১২-এর টেটেও টাকা তোলা হয়েছে, আদালতে দাবি ইডি-র। 'রাজ্যের আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের আধিকারিকের মেয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ অয়নের ছেলের'। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে অয়ন শীল।
আরও পড়ুন: 'অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে টাকা, ১০০ নয় ৫০০ কোটি তুলেছে কুন্তল' বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল