Couple Body Recovery:বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য আনন্দপুরের আবাসনে
Kolkata Crime:আনন্দপুরে নোনাডাঙার বাল্মিকী আবাসনে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধ।
হিন্দোল দে, আনন্দপুর: আনন্দপুরে নোনাডাঙার বাল্মিকী আবাসনে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ (Couple Body Recovery In Anandapur) উদ্ধার ঘিরে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধ। শারীরিক অসুস্থতার ফলে দুজনেই অবসাদে ভুগতেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহদুটি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কী জানা গেল?
গত কাল অর্থাৎ সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ, আনন্দপুর থানায় খবর আসে, বাল্মিকী আবাসনের ছাদ থেকে এক ব্য়ক্তি পড়ে গিয়েছেন। পরবর্তী কালে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম অমূল্য সমাদ্দার। তাঁর ৭৩ বছর বয়স। প্রাথমিক তদন্তে আরও উঠে আসে, ওই বৃদ্ধ ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর অমূল্য সমাদ্দারের বাড়ি গেলে পুলিশ দেখতে পায়, এক বৃদ্ধা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে জানা যায়, বৃদ্ধার নাম গীতা সমাদ্দার। ৬৩ বছরের গীতা, মৃত বৃদ্ধের স্ত্রী। পুলিশের দাবি, ছুরি দিয়ে গলা কাটা ছিল বৃদ্ধার। তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধই ছুরি দিয়ে বৃদ্ধার গলা কাটেন। তার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন, দাবি পুলিশের। এখনও পর্যন্ত যা উঠে আসছে, তাতে এই 'খুন' ও 'আত্মহত্যার' নেপথ্য়ের ছবিটি অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন গীতা। অমূল্যই তাঁর দেখভাল করতেন। গত কাল, চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি অমূল্য। ডাক্তার জানান, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা হয়েছে বৃদ্ধের। হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, এর পরই অবসাদ চেপে বসে। স্ত্রী এবং তাঁর দেখভাল কে করবেন, সেই চিন্তায় পড়ে যান অমূল্য। সম্ভবত সেখান থেকেই 'খুন' ও 'আত্মহত্যা'। আপাতত, বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
হাওড়ার ঘটনা...
আনন্দপুরের ঘটনা বছরতিনেক আগেকার একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে অনেককে। সেটি হাওড়ার। সে বার বহুতলের ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে বৃদ্ধ দম্পতির পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলে পরিবারের কর্তা। পাশের ঘরের সোফায় পড়ে ছিলেন বৃদ্ধের স্ত্রীর পচা গলা দেহ। হাতের শিরা কাটা অবস্থায় উদ্ধার দম্পতির একমাত্র ছেলে। ডিপ্রেসনে বাবা-মাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ছেলে, এমনটাই অনুমান ছিল তদন্তকারীদের। হাওড়ার শিবপুরের কইপুকুর লেনের ওই ঘটনায় শোনা যায়, মানসিক সমস্যা ছিল ছেলের। সম্ভবত বেকারত্ব থেকে দেখা দেয় মানসিক সমস্যা, ধারণা প্রতিবেশিদের।