East Burdwan News: কন্যা সন্তানের সামনেই আঘাত, স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিল স্বামী
West Bengal News: আট বছর আগে দেওয়ানদিঘি থানার জিয়ারা গ্রামের লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সোমের। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: স্ত্রীকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিল স্বামী। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।
মৃতার নাম লক্ষ্মী হাঁসদা। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সোম হাঁসদা। আট বছর আগে দেওয়ানদিঘি থানার জিয়ারা গ্রামের লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সোমের। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,সোমবার রাতে দুই শিশুকন্যার সামনেই লক্ষ্মীর মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে সোম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মীর। এরপর ঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে সেখানে লক্ষ্মীর দেহ পুঁতে দেয় সোম। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোক লক্ষ্মীর কথা জিজ্ঞাসা করায় বলে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এরপরই ঘর তালাবন্ধ করে সোম চম্পট দেয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘরের মেঝে খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে গ্রামেরই এক প্রান্ত থেকে সোমকে গ্রেফতার করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
কোচবিহারের দিনহাটায় দুই দুষ্কৃতীর খুনের ঘটনাতেও এবার নাম জড়াল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। ইউসুফ মিয়া ও হাসানুর রহমানকে খুন করিয়েছেন ভেটাগুড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য জাকির মিয়া, অভিযোগ নিহত হাসানুরের স্ত্রীর। গতকাল রাত পৌনে ১০টা নাগাদ দিনহাটার ভেটাগুড়িতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম ইউসুফ ও হাসানুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জোড়া খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিশের দাবি, ১২ বছর আগে মাথাভাঙার একটি ডাকাতির মামলায় একসঙ্গে জেল খাটে ইউসুফ ও হাসানুর। হাসানুর আগে ছাড়া পেয়ে ইউসুফের স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। তা নিয়ে আক্রোশ ছিল ইউসুফের। গতকাল মত্ত অবস্থায় মারামারি করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই দুষ্কৃতীর।
এর আগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে, বৃদ্ধ দম্পতিকে খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৩ আত্মীয়কে। পুলিশ সূত্রে খবর সম্পত্তি হাতাতে খুনের ছক কষে বৃদ্ধার বোনের মেয়ে ও তাঁর ২ ছেলে। ঘটনার ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের ৩ ঘণ্টার মধ্য়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। খুনের পর, তালা ঝুলিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: যোগ্য -অযোগ্য আলাদা করা না গেলে পুরোটাই বাতিল: সুপ্রিম কোর্ট