Bratya Basu:কবে হবে SLST দশম-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ? 'সিদ্ধান্ত হয়নি', বললেন ব্রাত্য বসু
SLST Recruitment: 'কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি', SSC-এর SLST চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: 'কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি', SSC-এর SLST চাকরিপ্রার্থীদের (SLST Recruitment) নিয়োগ নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ১ হাজারেরও বেশি দিন ধরে ধর্নায় বসে রয়েছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ নিয়ে জট কাটানোর জন্য সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি কতটা বদলেছে? বৃহস্পতিবার এই নিয়ে এবিপি আনন্দের তরফে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য বসু বলেন, 'সরকার আশাবাদী। সরকার সদর্থক মনোভাব দেখাতে চায়। আইনি জট ছাড়িয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারব বলেই আশা করছি।'
বৈঠক...
গত কাল, বুধবার এই SSC-র SLST চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়েই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কুণাল ঘোষ। শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন ও SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। সেই বৈঠকের পর নিয়োগ নিয়ে কোও সিদ্ধান্ত হল কিনা, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকে। জবাবে তিনি বলেন, 'ওটি কোনও সরকারি বৈঠক ছিল না। একেবারেই ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে।' নিয়োগ-জট ছাড়ানো নিয়ে রাজ্য সরকার যে আশাবাদী সে কথা মনে করিয়েও ব্রাত্য বসু বলেন, 'পুরোটাই একটি আইনি জট আছে, আইনি বাধা রয়েছে। আমরা যা-ই করব, আদালতের অনুমতি অনুযায়ীই করব।'
প্রেক্ষাপট...
গত ২১ ফেব্রুয়ারি, আন্দোলনের ১০৭৪তম দিনে এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করেছিলেন SLST চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তারই প্রতিবাদে মুখে কালি লেপে প্রতিবাদও জানান তাঁরা। অন্য দিকে, নিয়োগ কেন আটকে তা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানায় এসএসসি-ও। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, SSC চেয়ারম্য়ান জানিয়ে দেন, SSC-র কাছে নিয়োগের সরকারি কোনও নোটিফিকেশন নেই। সে দিন সাড়ে ৩টের পর আচার্য সদনের ভিতরে ঢোকেন চাকরিপ্রার্থীরা। সাড়ে চারটে বাজার আগেই বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। এর পরই কালি মাখেন মুখে।
চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে এসএলএসটি-র যে চাকরিপ্রার্থীর চুল কেটে ফেলার ছবি গোটা বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, সেই রাসমণি পাত্রও যোগ দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে। এরপর মুখে কালি লেপা অবস্থাতেই তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদকের কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু কুণাল ঘোষ সে সময় নন্দীগ্রামে থাকায়, তাঁর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি চাকরিপ্রার্থীদের। পরে কুণাল বলেন, “আমি তো সরকারের কেউ নই, আমি আন্দোলনকারীদের অনুরোধে, তাঁদের সমর্থনে এই জটটা খোলার চেষ্টার জন্য যোগসূত্রের ভূমিকা পালন করছি। ফলে তাঁরা কী জানান সেটা দেখি।’
কুণাল-ব্রাত্য সহ সকলে মিলে বৈঠক করলেন বটে, কিন্তু নিয়োগের কী হবে? লোকসভা ভোটের আগে কিছু হবে কি? আশায় চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন:দেড় বছরের সন্তানকে খুনে মাকে ফাঁসির সাজা হাওড়ার আদালতের, মৃত্য়ুদণ্ড পেল প্রেমিকও