Firhad Hakim: অবশেষে হুঁশ ফিরল সরকারের! বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে ক্লাস্টার তৈরির ভাবনা
জনবহুল এলাকা থেকে দূরে কোনও জায়গায় ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা। কীভাবে, কোথায় তৈরি হবে ক্লাস্টার, খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন।
কলকাতা: ১ সপ্তাহে ১৪জনের প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে হুঁশ ফিরল সরকারের। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে ক্লাস্টার তৈরির ভাবনা রাজ্যের। জনবহুল এলাকা থেকে দূরে কোনও জায়গায় ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা। কীভাবে, কোথায় তৈরি হবে ক্লাস্টার, খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন।
ক্লাস্টার তৈরির ভাবনা: প্রথমে এগরা, তারপর বজবজ, আর এবার দুবরাজপুর। গত সাত দিন রাজ্যের তিন জায়গায় বিস্ফোরণে ঘটনা। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আজকে নতুন নয়, আমরা ছোট থেকেই দেখছি বিভিন্ন বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়, আগুন লাগে, তাতে মৃত্যু হয়। মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব এসেছে। বেআইনি বাজি কারখানা থাকে বলে, সেখানে দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুমাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। দেখা হবে এই বাজি কারখানায় ক্লাস্টার করা যায় কিনা।''
গত মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়। দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই। খাদিকুল গ্রামে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে এগরা থানার দূরত্ব কমবেশি ২২কিলোমিটার। এগরা দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থল থেকে গোপীনাথপুরে মূল রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার।
গতকাল বজবজে ফের বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। বেআইনি বাজি কারখানার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন। বজবজের নন্দরামপুর দাসপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা, দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। বাড়িটির উপরে দোতলায় কাজ হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা। ওই বাড়িটির গৃহবধূ এবং তাঁর শিশুও মারা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে, পম্পা হাটি ও জয়শ্রী হাটি। দমকল আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। এই এলাকার সামনে রাস্তা সরু। দমকলের গাড়ি প্রথমটায় ঢুকতে সমস্যা হয়েছে। এই এলাকায় আশেপাশে একাধিক পুকুর রয়েছে। সেখান থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। বাড়িটির সিঁড়ি ও তলার ঘর একেবারে পুড়ে গিয়েছে। বাড়িটিতে বাজি তৈরির কাজ চলত বলে স্থানীয়দের দাবি। উপরের ঘরে গুদাম বাজি রাখা হতে বলে খবর। এরপর আজ দুবরাজপুরে (Dubrajpur Incident) বাড়িতে মজুত বোমায় বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে মজুত বোমায় বিস্ফোরণের অভিযোগ। প্রবল বিস্ফোরণে উড়ে যায় তৃণমূলকর্মীর বাড়ির একাংশ। জানা গিয়েছে, সিঁড়ির নীচে রাখা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ।
আরও পড়ুন: Hand Writing: আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?