Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগরে শাহি স্নানে 'কুয়াশা' বিপত্তি, মুড়িগঙ্গা নদীতে বন্ধ ভেসেল
Gangasagar Mela 2024: মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সাগরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসছেন। মেলামাঠ, কচুবেড়িয়া ও কাকদ্বীপের লট এইট ভিড়ে ঠাসা
গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে মধ্যরাত থেকে সাগরমেলায় (Gangasagar Mela) শুরু হল মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) শাহি স্নান। শাহি স্নানের মধ্যে আবারও ঘন কুয়াশার জেরে বিপত্তি।
কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা গঙ্গাসাগর। কুয়াশার জেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের সবরকম যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ বাস, ভেসেল ও লঞ্চ পরিষেবা। মুড়িগঙ্গা নদীতে বন্ধ ভেসেল। নামখানা পয়েন্টে বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা। সাগরমেলা থেকে কচুবেড়িয়ার মধ্যে বন্ধ বাস পরিষেবা। কুয়াশা কাটলে তবে পুনরায় পরিবহন ব্যবস্থা চালু হবে। মেলামাঠ, কচুবেড়িয়া ও কাকদ্বীপের লট নং আটে পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সাগরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসছেন। মেলামাঠ, কচুবেড়িয়া ও কাকদ্বীপের লট এইট ভিড়ে ঠাসা। আজ দিনভর পুণ্যার্থীদের যাওয়া আসা চলবে। এদিকে, বাস, লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন পুণ্যার্থীরা।
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে একাধিক বিমান। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত ৪১টি উড়ান বাতিল হয়েছে। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে পারেনি কোনও বিমান। হাতে গোনা কয়েকটি বিমান উড়েছে। চরম হয়রানির শিকার বিমান যাত্রীরা। কতক্ষণে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে সংশয়ে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, আজ মকর সংক্রান্তি, মনস্কামনা পূরণে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমে ভিড়
এদিকে, আজ মকর সংক্রান্তি। মনস্কামনা পূরণে গঙ্গাসাগরে পুণ্য়স্নানের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। ভিড় উপচে পড়ছে সমুদ্র সৈকতে। সাগরে স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ সকাল ৯টা ১৩। যদিও কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই গতকাল মাঝরাত থেকে শুরু হয়েছে স্নান। চলবে আজ রাত ১২টা ১৩ পর্যন্ত। সাগরে স্নানের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন পুণ্যার্থীরা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা।