Madan Mitra: 'তৃণমূলে ফিরলে স্বাগত জানাব', প্রবীর ঘোষালকে পাশে নিয়ে বার্তা মদনের
Madan Mitra inaugurates Konnagar Book Fair: মদন মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, "প্রবীর ঘোষালের জয়েনিং আমার দল যদি করে তাহলে আমি তাঁকে ওয়েলকাম করব।"
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: কোন্নগর বইমেলায় একই মঞ্চে দেখা হল তৃণমূল ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া প্রার্থী। একজন 'কালারফুল বয়' তথা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং অপর জন প্রবীর ঘোষাল। কিছুক্ষণ কথাও হয় দুজনের মধ্যে। এই রসায়ন দেখেই ফের প্রবীরের তৃণমূলের 'ওয়াপসির' জল্পনা উঠেছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে উত্তরপাড়া থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। তবে তৃণমূলের কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন তিনি। তারপর থেকে বিজেপির কর্মসূচীতে তাঁকে দেখা যায়নি। সম্প্রতি তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলায় লেখেন "কেন বিজেপি করা যায় না"। রবিবার সন্ধ্যেয় কোন্নগর বইমেলায় অতিথি হিসাবে মদন মিত্রর সঙ্গে উপস্থিত হন প্রবীর ঘোষাল, যা নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
মদন মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, "প্রবীর ঘোষালের জয়েনিং আমার দল যদি করে তাহলে আমি তাঁকে ওয়েলকাম করব। ব্যাক্তিগত ভাবে প্রবীরবাবুর সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। তবে আমি দলের লোক। দল যদি বলে গেটে দাঁড়িয়ে থাক থাকব। দল যদি বলে শ্মশানে যাও যাব। দল যদি বলে মন্ত্রী সভায় যাও চলে যাব।আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী, দল যা বলবে করব।"
রবিবার মেলার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "কামারহাটি আর কোন্নগর যমজ দুই ভাই। মাঝখানে একটা নদী মাত্র। মনে রাখবেন, আমিও আপনাদেরই একজন। প্রবীর বাবু এসেছেন, এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে এসেছেন।" এরপর
মদন মিত্রর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রবীর ঘোষাল বলেন, "মদন মিত্র অত্যন্ত সংস্কৃতিবাদ মানুষ। ওঁকে দীর্ঘ চল্লিশ বছর চিনি। ঠিক জায়গায় ঠিক অতিথি হিসাবেই এসেছেন।"
তবে কি এবার তৃণমূলে ফিরবেন প্রবীর? এ প্রসঙ্গে উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, "বই মেলা রাজনীতির জায়গা নয়।এখানে রাজনীতির আলোচনা করব না।"
সম্প্রতি, সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীর ঘোষাল বলেছিলেন, বিজেপিতে আমি মানসিকভাবে নেই। রাজনৈতিক দল, কিন্তু ভিতরে যা কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, তা ভয়ঙ্কর!! বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগী প্রবীর ঘোষালের দাবি,' আমাদের মতো লোকের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে ভাবতে পারিনি। এত কমিটি ভোটের সময় টাকা টাকা করে পাগল করে দিয়েছিল, এত খারাপ অবস্থা ভাবতে পারিনি।'